Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 1:38 am

পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে অনেক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন জিয়াউর রহমান: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পঁচাত্তরপরবর্তী সময়ে অনেক সেনা কর্মকর্তাকে মেজর জিয়াউর রহমান হত্যা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউর রহমানের সামরিক আদালতের প্রসঙ্গ নিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী নিহত সেই সব সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনদের খোঁজ নেয়া হবে উল্লেখ করে বলেন, সামরিক আদালত সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন। ওই সময়ে (১৯৭৫ সালের পর) একটা ক্যু হয়েছিল। প্রতিটি ক্যুতে সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিল। তার নির্দেশে প্রহসনের বিচারের জন্য সামরিক আদালত বসানো হয়েছিল। কত মানুষ মারা গিয়েছিলেন তার প্রকৃত সংখ্যা বের করা যায়নি।

১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ভোররাতে বিমানবাহিনীতে সংঘটিত বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করা হয়েছিল। তখন সামরিক আদালতে ফাঁসি দেওয়া হয় ১১ জন অফিসারসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমান সেনাকে। বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত হন আরও চার হাজার জন। নিখোঁজ হন অসংখ্য।

সামরিক আদালতে নিহত পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই সময় আমার ফুফাতো ভাই ফিরোজ কবির চৌধুরী, যিনি ক্যামেরাম্যান ছিলেন, তাকেও হত্যা করা হয়। ওই সময় তাদের হত্যা করে বিলের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। জেলখানায় যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের হয়ত খোঁজ পাবো। কিন্তু কত জনকে যে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়েছে, জানি না। তবে আমরা তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিবো। স্বজনদের হারিয়ে অসহায়দের অবস্থা আমি জানি। আমিও তো আপনজন হারিয়েছি।’

এসময় শেখ হাসিনা জানান, ওই সময়ে নিহত অনেকের পরিবারের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে।

১৫ আগস্টে স্বজন হারানো পরিবারগুলোকে মামলা করারও সুযোগ দেওয়া হয়নি জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা এ সময় আরও বলেন, আমার বাবা-মা-ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডে আমি মামলা করতে পারিনি। মামলা করতে দেওয়া হয়নি।