পচা মাংস রফতানি করেছে ব্রাজিলের কোম্পানিগুলো

শেয়ার বিজ ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মাংস উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশ ব্রাজিল। আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাংস উৎপাদনকারী কোম্পানি দেশটির জেবিএস কোম্পানি এবং শীর্ষ পোলট্রি উৎপাদনকারী কোম্পানি বিআরএফ। সম্প্রতি এ দুটিসহ ব্রাজিলের প্রায় ৩০টি কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস প্রস্তুত করার অভিযোগ উঠেছে। এগুলোর মধ্যে বেশকিছু কোম্পানি পচা মাংস বিক্রি করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ মাংস ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়েছে। খবর বিবিসি।
ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এসব পচা মাংস বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৩ সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে। তিনটি প্রধান মাংস প্রক্রিয়াকরণ কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ২১টি কারখানা পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এ খবরের পর দেশটির মাংস রফতানিকারকরা বিপাকে পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিদেশিদের আশ্বস্ত করতে এবং রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে ব্রাজিলের কৃষিমন্ত্রী ব্লাইরো মা¹ি আগামীকাল দেশটিতে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
প্রায় দুই বছর তদন্তের পর ব্রাজিলের ছয়টি রাজ্যে ওইসব কারখানায় শুক্রবার অভিযান চালানো হয়। দেশটির পুলিশ প্রায় ১৯৪টি জায়গায় অভিযান চালায়।
তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছেন, কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকরা স্থাস্থ্য পরিদর্শক ও রাজনীতিবিদদের ঘুষ দিয়ে এসব পণ্যের ছাড়পত্র নিয়ে থাকেন। পুলিশের দাবি, তাদের কাছে এ ধরনের প্রায় ৪০টি ঘটনার প্রমাণ রয়েছে।
মাংস বা মাংসজাত পণ্য তাজা রাখতে তারা এসিড ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। এসব পণ্য ক্যানসার রোগের অন্যতম কারণ।
এছাড়া অধিক মুনাফার জন্য আলু, পানি ও পিচবোর্ড কাগজও মুরগির মাংসের সঙ্গে মেশানো হয়।
জেবিএস এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ নাকচ করে বলেছে, তারা স্বাস্থ্য আইন ও অন্যান্য নীতি মেনেই মাংস প্রক্রিয়াজাত করেছে। তাদের প্রতিষ্ঠানে পুলিশের অভিযানের কথা স্বীকার করলেও জেবিএসের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পায়নি বলে জানান তারা।
বিআরএফ জানিয়েছে, তারা তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কোম্পানিটিও দাবি করছে তারা কোনো আইন ভঙ্গ করেনি।
প্রসিকিউটররা বলেছেন, ঘুষের অর্থ ক্ষমতাসীন সরকারের জোটের দুই পার্টি পিপি ও (প্রেসিডেন্ট মাইকেল টেমারের) পিএমডিবির মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছে। এদিকে এ খবর প্রকাশের পর শুক্রবার সাও পাওলো পুঁজিবাজারে জেবিএস ও বিআরএফের শেয়ারদর যথাক্রমে ১০ ও ৮ শতাংশ পতন হয়েছে।
জেবিএস ১৫০টির বেশি দেশে তাদের পণ্য রফতানি করে। কোম্পানির নিট আয় ৫৫ বিলিয়ন ডলার।