Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 10:39 pm

পছন্দের শীর্ষে ন্যাশনাল ফার্নিচারের পণ্য

দি ন্যাশনাল ফার্নিচারে রয়েছে বাসাবাড়ি ও অফিস সাজানোর সব ধরনের ফার্নিচার। প্রতিষ্ঠানটির পণ্যগুলোয় আভিজাত্যের ছাপ সুস্পষ্ট। ন্যাশনাল ফার্নিচারের সব পণ্যই দেশি। সমাজের সব শ্রেণির ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে এর পণ্যগুলো।
ন্যাশনাল ফার্নিচারের গল্পটা এমনই। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। রাজধানীর কাজীপাড়া থেকে মিরপুর ১০-এর দিকে বেগম রোকেয়া সরণিতে রয়েছে তাদের শোরুম। কাঠের গুণগতমান ও নজরকাড়া নকশার কারণে এখানে ভিড় লেগে থাকে ক্রেতাদের।
ন্যাশনাল ফার্নিচার ৪৫ বছর ধরে ব্যবসা করছে। ১৯৭২ সালে ব্যবসায়ী মো. সোলেমানের হাত ধরে শুরু হয় এর যাত্রা। তিনি ইস্তফা নেওয়ার পর ব্যবসায়ের হাল ধরেন তার সন্তান মনির হোসেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানও তিনি। সোলেমান সাহেবের ইচ্ছা ছিল নির্ধারিত দামে সেরা পণ্যটা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আর সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বাবার ইচ্ছা পূরণে সর্বদা ব্যস্ত তিনি।
ন্যাশনাল ফার্নিচারের আর কোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠান নেই। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি কোনো ডিলার নিয়োগ দেয়নি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মনে করেন, ডিলারদের মাধ্যমে সঠিক দামে ক্রেতার কাছে পণ্য ঠিকমতো পৌঁছানো সম্ভব হবে না। ডিলার বেশি মুনাফার কারণে নির্ধারিত দামের চেয়ে তুলনামূলক বেশি দাম দাবি করবে। এতে ব্যবসায়ের সুনাম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ন্যাশনাল ফার্নিচারের আসবাবপত্র তৈরির মূল উপাদান প্রক্রিয়াজাত কাঠ। ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকে কাঠ আমদানি করা হয়। বারমাটিক, গর্জন, আফ্রিকান সেগুন, ইউরোপিয়ান ওক, গামারি, শিলকড়াই, মেহগনি প্রভৃতি কাঠ আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কারখানা রয়েছে। এখানেই সব ফার্নিচার তৈরি করা হয়।
এ প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বেলায় আগে আসবাবপত্রের অর্ডার নেওয়া হয়। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী কাঠের গুণগত মান রক্ষা করে নিপুণভাবে তৈরি করা হয় আসবাবপত্র। খাট, আলমারি, ওয়্যারড্রব, ডাইনিং টেবিল, সাইড টেবিল, শোকেস, দরজা, সাইড টেবিল, সোফা, শু-র‌্যাকসহ যে কোনো কাঠের আসবাব তৈরি করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। আরও রয়েছে ম্যাট্রেস, সোফা কাপড়, ফোম, দরজা, ছোট ছোট কাঠের সামগ্রী প্রভৃতি।
ফার্নিচারগুলো সহজে নষ্ট হয় না। চার-পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো ফার্নিচারে ত্রুটি দেখা দিলে তা ঠিক করে দেওয়া হয়। এজন্য বাড়তি কোনো টাকা নেওয়া হয় না। এক কথা, তাদের তৈরি আসবাব ত্রুটিমুক্ত। বিগত চার-পাঁচ বছরের মধ্যে এমন ঘটনা খুব কমই ঘটেছে হাতেগোনা দুই থেকে তিনবার। তবে স্ক্রু, গ্লাস, লক, কব্জা প্রভৃতি পণ্যের বেলায় কোনো গ্যারান্টি দেওয়া হয় না। অবশ্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তা নিজ দায়িত্বে ঠিক করে দেয় তারা।
প্রতিষ্ঠানটির বিক্রীত ফার্নিচার অভিজ্ঞ শ্রমিক ও পরিবহন দ্বারা ক্রেতার কাছে সরবরাহ করা হয়।