প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রে চলতি অর্থবছরের ১৭তম চা নিলাম মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিলামে পঞ্চগড়ের চায়ের তুলনায় সিলেটের চায়ের চাহিদা বেশি ছিল। নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয় বিটিআরআই টি, যার প্রতি কেজি চায়ের বাজারমূল্য ছিল ৩৪০ টাকা। এছাড়া সাবারি টি প্লান্টেশনের গ্রিনটি প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯৬০ টাকায়। গতকাল বুধবার শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রের অস্থায়ী কার্যালয় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
নিলামে শ্রীমঙ্গলের চারটি ব্রোকারস হাউস মিলিয়ে প্রায় ৪৫ বায়ার অংশগ্রহণ করে। এতে এক লাখ ৪৩ হাজার ১৮১ দশমিক ১০ কেজি চা পাতা নিলামে ওঠে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য দুই কোটি ৮৬ লাখ ৩৬ হাজার ২২০ টাকা।
এর আগে গত ১৬তম নিলামে এক লাখ ৪১ হাজার ৭৪ দশমিক ৩০ কেজির ওপরে উঠলেও বিক্রি হয় ৪৪ হাজার ৫৩১ দশমিক ১০ কেজি, যার মূল্য ৮১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫৮ দশমিক ২৮ টাকা। গড় বিক্রয়মূল্য ছিল ১৮৩ দশমিক ৫৬ টাকা প্রতি কেজি।
শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ শেয়ার বিজকে জানান, ‘১৭তম চা নিলামে এক লাখ ৪৩ হাজার কেজি চা অফার ছিল। ভালো চা পাতা রয়েছে, তার দামও বেশি। আজকে চায়ের বাজারদর গড় দুই কোটি টাকার ওপরে। ভালো চায়ের চাহিদা বেশি। আজকে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয় বিটিআরআই টি, যার প্রতি কেজি বাজারমূল্য ছিল ৩৪০ টাকা। আমরা আশা করি বাগান থেকে যদি এখানে ভালো চা পাতা অফার করা হয়, তাহলে ভালো দাম পাওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ের চা পাতা আমাদের এখানে খুব কম অফারিং হয়। কোনো কোনো বিক্রিতে থাকে, আবার কোনো কোনো সময় থাকে না। পঞ্চগড়ের চায়ের তুলনায় আমাদের সিলেটের চায়ের চাহিদা বেশি এবং পঞ্চগড়ের চায়ের লিকার কম থাকায় এখানে বাজার তেমন একটা ওঠে না। যদিও ওদের চা উৎপাদন বেশি, কিন্তু বাজারে চাহিদা কম।’
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত নিলাম থেকে ভালো ভালো চায়ের দাম অনেক বেশি গেছে, গুণগত মান এখন তেমন খারাপ নয়। ভালোই রয়েছে।’
ঢাকা থেকে আসা মো. মনিরুজ্জামান শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে এখানে এসেছি চায়ের নিলামে। আমরা একটা চায়ের বিজনেস চালু করেছি। এখানে ১০০ ধরনের চা রয়েছে, চায়ের ধরন ও কোয়ালিটি দেখে বোঝা যায়, এখানে উন্নত ধরনের চা পাতা রয়েছে। আমাদের চায়ের বর্তমান বাজারমূল্য যদি ধরি তাহলে অন্যান্য দেশের তুলনায় কমই রয়েছে, কিন্তু আমাদের দেশের তুলনায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটু বেশি রয়েছে। তাছাড়া চায়ের ধরন অনুযায়ী সব দামেরই চা পাতা এখানে পাওয়া যায়। আমরা কিনতে আসছি, তবে চায়ের দাম আগের তুলনায় একটু বেশি। তাছাড়া আমাদের বাংলাদেশে চায়ের গুণগত মান অনেক ভালো। বাংলাদেশের চা বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে।’