Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 3:51 pm

পঞ্চগড়ে কনকনে শীতের সঙ্গে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি

প্রতিনিধি, পঞ্চগড় : দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে কয়েক দিন ধরে বেড়েই চলছে শীতের প্রকোপ। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাস আর হঠাৎ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি। ফলে শীতের দাপটের পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার খেটে খাওয়া লোকজন।

গতকাল সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সরেজমিনে দেখা যায়, হালকা শীতল বাতাস ও থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় মানুষ ঘরের বাইরে তেমন বের হচ্ছে না। যারা কাজের সন্ধানে বের হয়েছে, তাদের অনেককেই কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই ফুটপাত কিংবা বাড়ির আঙিনায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তরাংশে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফলে পঞ্চগড়সহ দু-এক জায়গায় হালকা ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের সাতমেড়া এলাকার রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, কয়েক দিন থেকে আমাদের এলাকায় শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। তবে আজ (গতকাল) সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। আমরা সময়মতো কাজে যেতে না পেরে বেকার সময় পার করছি।

একই কথা বলেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকার পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিক আওয়াল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ, কাজ করে জীবিকানির্বাহ করি। এমনিতে কয়েক দিন ধরে শীত বেশি। আজ আবার সকাল থেকে বৃষ্টি ও বাতাস হচ্ছে। ফলে শীত বাড়ছে। সূর্যের আলো সারাদিন দেখা যায়নি। নদীর পানিও ঠাণ্ডা। কাজে যোগ না দিয়ে বসে বেকার সময় পার করছি। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, সকাল ৯টায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা দিন দিন হ্রাস পাবে। আগামী জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা এক অঙ্কের ঘরে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ে বেশি শীত অনুভূত হয়। আমরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। আমরা আশাবাদী এবারও আমরা শীত মোকাবিলা করতে পারব।