প্রতিনিধি, পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে চা চাষিদের সঙ্গে চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা মালিকদের আলোচনার পর নতুন করে কাঁচা চা পাতার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ টাকা। পানিযুক্ত বা ভেজা কাঁচা চা পাতা সরবরাহ করলে ১০ শতাংশ কর্তন করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গত বুধবার রাতে সভা শেষে পঞ্চগড় ডিসি মো. জহুরুল ইসলাম এ মূল্য ঘোষণা করেন।
সভায় চা চাষিরা বলেন, তারা যে চা পাতা সরবরাহ করছেন সব পাতা দিয়ে উৎপাদিত চা নিলাম বাজারে না দিয়ে গোপনে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে বিক্রয় করছেন বেশিরভাগ চা কারখানা মালিক।
কারখানা মালিকরা স্থানীয়ভাবে নিলাম বাজারের চেয়ে বেশি দামে চা পাতা বিক্রয় করছে কিন্তু আমরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। বর্তমানে এক কেজি কাঁচা
চা পাতায় উৎপাদন খরচ হয় প্রায় ১৭ টাকা। সরকারিভাবে বা চা বোর্ড এখানে চা ফ্যাক্টরি স্থাপন করলে চা চাষিরা কাঁচা চা পাতার ন্যায্য মূল্য পেত বলে দাবি করেন তারা।
কারখানা মালিকরা বলেন, নিলাম বাজারে চায়ের দরপতন, গুণগতমান সম্পন্ন চা পাতা সরবরাহ করতে না পারায় লোকসান হচ্ছে তাদের। চায়ের নিলাম বাজার যখন ভালো ছিল, তখন ২৪ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে কাঁচা চা পাতা ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানে নিলাম বাজারে সিলেটের চায়ের থেকে পঞ্চগড়ের চায়ের মান নি¤œ হয়েছে। দুটি পাতা একটি কুড়িÑএই নীতি না মেনে বাগান থেকে চা পাতা সংগ্রহ করছেন চা চাষিরা। এ কারণে মানসম্পন্ন চা উৎপাদন হচ্ছে না। এ কারণে কাঁচা চা পাতার মূল্য বাড়াতে আপত্তি জানিয়েছেন কারখানা মালিকরা।
গত এক মাস ধরে পঞ্চগড়ের চা কারখানা মালিকরা সিন্ডিকেট তৈরি করে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে কাঁচা চা পাতা ক্রয় ও নানা কারণে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ওজন কর্তন করে আসছেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত চা চাষিরা কাঁচা চা পাতার ন্যায্য মূল্যের দাবিতে গোটা জেলায় মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ, প্রতিবাদ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে কাঁচা চা পাতার ন্যায্য মূল্য দাবি করেন।