প্রতিনিধি, পঞ্চগড় : হিমালয়কন্যা খ্যাত দেশের সর্ব উত্তরের শীত প্রবন পঞ্চগড় জেলায় শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহ জুড়ে শৈত্যপ্রবাহ এখনো বিদ্যমান। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবারও জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হয় । আজও কুয়াশার কারণে সুর্যের মুখ দেখা যায়নি। শৈত্যপ্রবাহের কারণে হিম শীতল বাতাস ও কুয়াশায় তীব্র শীতের কামড়ে দুর্ভোগে পড়েছে এ এলাকার মানুষ।
বুধবার পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিযাস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ৯.৬, ৯.৫ , ৯.৪,৭ , ৬.৯ ও ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পঞ্চগড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে কম ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। পাহাড় থেকে বয়ে আসা উত্তর হিমেল হাওয়া ও কুয়াশার কারণে পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তীব্র হাঁড়কাঁপানো কনকনে শীত জবুথবু হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। কনকনে হাঁড় কাঁপানো তীব্র শীতে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। তীব্র শীতে কৃষকরা বোরো চাষের জন্য মাঠে নামতে পারছে না। সকাল বেলা শীত বেশী থাকায় কর্মক্ষেত্রে যেতে অনেকেরই দেরী হচ্ছে। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
এদিকে গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে বেচাকেনা বেড়ে গেছে। অনেকেই শীত জনিত রোগ সর্দি,কাশি ও শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে। এই শীতে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশী কষ্ট পাচ্ছে। জেলার হাসপাতাল গুলোতে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। চলতি মাসের শেষে শীতের তীব্রতা আরো বেড়ে যাবে,আরো দুইটি শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন, তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ ।