Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 5:59 pm

পঞ্চমবারের দুর্ভোগে তিস্তা ও ধরলাপাড়ের মানুষ

প্রতিনিধি, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নি¤œাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার  সকালে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সে.মি. ওপরে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিপৎসীমার ২০সে.মি. ওপরে পানি প্রবাহিত হলেও শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ১৫ সে.মি. ওপরে ও পরে ১০ সে.মি ওপরে রেকর্ড করা হয়। ফলে ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী-তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় নিজেদের সবটুকু গুছিয়ে নিচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ।

এ বছরে পঞ্চম দফা বন্যায় জেলার পাটগ্রাম,হাতিবান্ধা,  কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। নিন্মাঞ্চলে ভেঙে গেছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা।

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, হঠাৎ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের এখনও চাহিদা পাওয়া যায়নি। চাহিদা পেলে বরাদ্দ দেয়া হবে। নি¤œাঞ্জল এবং চরাঞ্চলে শুকনা খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হচ্ছে।