নিজস্ব প্রতিবেদক: ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ এক হাজার ২০০ কোটি টাকার ৫ম সাবঅর্ডিনেটের বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি এক হাজার ২০০ কোটি টাকার সম্পূর্ণ অবসায়নযোগ্য, অসুরক্ষিত, রূপান্তর অযোগ্য এবং সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ছাড়বে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ডটি ইস্যু করা হবে। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টায়ার-২ শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ব্যাসেল থ্রি মূলধন শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের এর মেয়াদ হবে ৭ বছর। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে এই বন্ড ইস্যু করা হবে।
কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩ হাজার ৪১৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৭৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৮৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ১৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ৮৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৭৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ৪৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৯ টাকা ৬ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৯ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৫১ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩১ হাজার ৪৪৬টি শেয়ার মোট ১৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ৫৯ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৩ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
