Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 11:29 am

পটোল-ঢেঁড়স ‘ভিআইপি’ দাম বেড়েছে মুরগির

নিজস্ব প্রতিবেদক: শীতের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় রাজধানীর বাজারগুলো থেকে ক্রেতারা বেশিরভাগ সবজি তুলনামূলকভাবে কম দামে কিনতে পারলেও নতুন আসা পটোল ও ঢেঁড়স বাজারে যেন ‘ভিআইপি’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে বেশিরভাগ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকার মধ্যে, সেখানে পটোল ও ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে।

ফলে কেউ কেউ মন্তব্য করে বসছেন, পটোল ও ঢেঁড়স এখন ভিআইপিদের খাবার! অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স। তবে দাম বেশি হওয়ায় সব বাজারে এ দুটি সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।

এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে নতুন পটোল ও ঢেঁড়স আসতে শুরু করেছে। এ কারণে এখন দাম বেশি। কয়েক দিন গেলে দাম কমে আসবে। আপাতত কিছু ক্রেতা শখের বশে এই দাম দিয়ে পটোল ও ঢেঁড়স কিনে খাবেন। সবাই এই দাম দিয়ে কিনবেন না, এ কারণে কম করে এনেছি। তাছাড়া পাইকারি বাজারেও কম পাওয়া যাচ্ছে।

১২০ টাকা কেজি পটোল বিক্রি করা এক ব্যবসায়ী বলেন, আড়তে অনেক খুঁজে পাঁচ কেজি পটোল কিনেছি। বেশি দামে কেনা, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। দাম অনুযায়ী কিছু ক্রেতা আছেন স্বাদ পরিবর্তন করার জন্য কিনে নিয়ে যাবেন। কিছুদিন পর হয়তো ৪০ টাকা কেজিতে পটোল বিক্রি হবে, সেই পটোলের স্বাদ আর এই পটোলের স্বাদ এক হবে না।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যবসায়ী ৮০ টাকা কেজিতে পটোল ও ঢেঁড়স বিক্রি করছেন। এক ব্যবসায়ী বলেন, এখন বাজারে বেশিরভাগ সবজি ২০-৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু পটোল ও ঢেঁড়স নতুন আসায় দাম বেশি। সরবরাহ বাড়লেও এ দুটি সবজির দামও কমে যাবে। তখন হয়তো অন্য সবজির দাম বাড়বে।

এদিকে শীতের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় সবজির দামে খুব একটা হেরফের হয়নি। আগের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। এছাড়া মুলার কেজি ২০ থেকে ২৫, বেগুনের কেজি ২০ থেকে ৩০, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ এবং গাজরের কেজি ১৫ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউয়ের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। সবজির মতো সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি কেজি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। এক ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে ৯৫ টাকায়।

এদিকে সরকার দাম বেঁধে দিলেও সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন ও পাম তেল। সরকার-নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিনের (খোলা) খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা। বোতলের প্রতি লিটার সয়াবিনের খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। বোতলের পাঁচ লিটারের মূল্য ৬২৫ টাকা। আর পাম সুপারের প্রতি লিটারের মূল্য ১০৪ টাকা। তবে গত কয়েক দিনের মতো খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেল ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৬৬০ টাকার ওপরে। কোম্পানি ভেদে ১৩৫-১৪০ টাকায় বোতলের এক লিটার সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে।