ক্রীড়া প্রতিবেদক: করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মার্চের শুরু থেকে কারফিউ জারি করে শ্রীলঙ্কা। দেশটির সরকার এরইমধ্যে জানিয়েছে অন্য দেশ থেকে কেউ আসলে তাকে আগে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) লঙ্কানদের এ প্রস্তাব মানতে পারেনি। যে কারণে সংস্থাটির কাছে নিজেদের প্রস্তাব পাঠায় বিসিবি।
নতুন করে আলোচনায় বসে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ঐ দুই পক্ষের আলোচনায় কোন সুখবর পাচ্ছে না বাংলাদেশ। যে কারণে টাইগারদের লঙ্কা সফর পণ্ড হওয়া শঙ্কায় পড়েছে। লঙ্কান বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনভাবেই নিজেদের নীতিমালা থেকে সরে এসে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টির পর্বের শর্ত শিথিল করা হবে না।
এ ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এপিডেমিওলজি ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক সুদাথ সামারাবীরা জানিয়েছেন, ‘গত মঙ্গলবার ক’রোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কমিটি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়, সফরকারী কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রেই কোয়ারেন্টিন শিথিল করা হবে না।’ তিনি আরও জানিয়েছেন,‘আমাদের আগের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসছে না। বাংলাদেশ দল যদি শ্রীলঙ্কায় খেলতে চায়, তাহলে অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। শ্রীলঙ্কায় পা রাখার পর থেকেই তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।’
এরআগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের জানা যায়, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের শর্ত শিথিল করতে যাচ্ছে। সংস্থাটি এবার বিসিবিকে প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশে ৭ দিন ও শ্রীলঙ্কা ৭ দিন কোয়ারেন্টিন পালনের। কিন্তু একদিন না যেতেই এ ব্যাপারটিও স্পষ্ট হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এপিডেমিওলজি ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক সুদাথ সামারাবীরার কথাতেই। করোনার কারণে গত মার্চ থেকেই বন্ধ বাংলাদেশের ক্রিকেট।
তবে আগামী অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফরকে কেন্দ্র করে লম্বা সময় ক্রিকেটাররা ফিরেছিলেন মাঠে। প্রস্তুতি নিচ্ছেন লঙ্কা মিশনের। কিন্তু আদৌ এ সফর শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখবে কি না জানেন না তারা। এরইমধ্যে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এপিডেমিওলজি ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক সুদাথ সামারাবীরা দিলেন বড় ধরণের দুঃসংবাদ।