পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনয়নে দেশে নতুন বাজার তৈরির উপর গুরুত্ব দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ লক্ষে দেশের এ দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের পাশাপাশি চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের অধীন সংস্থা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি নতুনভাবে বাজারে এনেছে কেরুজ জৈব সার ‘সোনার দানা’।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনার আকন্দবাড়ীয়ায় ২০১২ সালে পরীক্ষামূলক এ জৈব সার কারখানাটি নির্মান করা হয়। এ চিনি কারখানার আখের বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি করা হয়। এ জৈব সার ভেজালমুক্ত ও উন্নত মানসম্পন্ন। উৎপাদিত এ জৈব সারে প্রায় ২৫ শতাংশ অর্গানিক কার্বন ও প্রায় ৩ শতাংশ সালফারসহ গাছের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান বিদ্যমান। জৈব সার সোনার দানা উৎপাদন সরকারিভাবে দেশে এটাই প্রথম।
বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে জৈব সার উৎপাদন ও বিক্রি চলমান। জৈব সার বিক্রি ত্বরান্বিত করার জন্য সারাদেশ আঠারো ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেরুজ জৈব সার মাটির গুন বাড়ানোর পাশাপাশি অধিক ফসল উৎপাদনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এ সার কারখানাটির উৎপাদনক্ষমতা সাত হাজার মেট্রিক টন। ৫০ কেজি বস্তার দাম ৫৫০ টাকা। প্রতি কেজি প্যাকেটের দাম ২০ টকা। এ জৈব সার ব্যবহারে কৃষি জমিতে ফসলভেদে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সালফারসমৃদ্ধ জৈব সার সোনার দানা প্রয়োগ করলে জমিতে বাড়তি কোন সালফার জাতীয় সার দিতে হয় না।
মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, ক্ষয়রোধ ও গাছের পুষ্টির জন্য জৈব সার সোনার দানা বেশ কার্যকর। ইতোমধ্যে এ সার ব্যবহার করে ফসলের আশানুরূপ ফলন পেয়েছে চাষিরা। এ সার ব্যবহারে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। কেরুর জৈব সার পরিবেশবান্ধব। এ সার ব্যবহার করে উৎপাদিত ফসল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। জৈব সার ব্যবহারের ফলে উদ্ভিদ সবল হওয়ায় ফসলে রোগবালাই কম হয়। ফলে জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহারও কমবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।