নিজস্ব প্রতিবেদক: রপ্তানি ও স্থানীয় বাজারে পণ্য সরবরাহ সহজ করতে ‘জাতীয় লজিস্টিক নীতি ২০২৪’র নীতির খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রপ্তানি পণ্য উৎপাদন স্থান থেকে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত যাত্রাটি যাতে বাধাহীন হয়, সেজন্য কী সহায়তা করা যায়, সেটার জন্য নীতিমালা করা হয়েছে। লজিস্টিকের কিছু অবকাঠামোখাত রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, আমাদের যোগাযোগের যে অবকাঠামো আছে, সেখানে আমরা সড়ক নির্ভর হয়ে গেছি। সামনে রেল ও নৌপথ নির্ভরতা বাড়াতে যা যা করণীয়, তা করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া জিপিএস ট্র্যাকিং ও কানেক্টিভিটি হাব, অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একটি কানেক্টিভিটি হাব হবে, সেখানে পণ্য সরবরাহের জন্য ওয়ারহাউস (গুদামঘর) ও পণ্য যাতে পচে না যায়, সে ব্যবস্থা করা হবে।
রপ্তানি কিংবা স্থানীয় বাজারের জন্য পণ্যের অবাধ যাতায়াতের কথা এই আইনে বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, এ-সংক্রান্ত সব নীতিমালা সংশোধন করে তা ব্যবসাবান্ধব করতে বলা হয়েছে। কোনটা পিপিপি হবে, কোনটায় সরকার বিনিয়োগ করবে, সেই তালিকাও রয়েছে। ১০৬ ধরনের পেশার কথা হয়েছে, সেখানে ৫২ ক্যাটেগরিতে প্রশিক্ষণও রয়েছে। সর্বনিম্ন কত ঘণ্টার প্রশিক্ষণ হবে, তারও একটা বিধানের কথা রয়েছে।
মাহবুব হোসেন বলেন, লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পরিবেশবান্ধব করতে বলা হয়েছে। নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। পিপিপি, সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের কথা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ সরকারি ও পিপিপির মাধ্যমে হবে। বিমান ও এভিয়েশনও একইভাবে হবে। সমুদ্রসেবার ক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি ও পিপিপিও থাকবে। সুনির্দিষ্টভাবে বললে, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সেবায় সরকারি, বেসরকারি ও পিপিপি থাকবে। রাইড শেয়ারিং, ক্লিয়ারেন্স ও ফরওয়ার্ডিং সেবা পুরোপুরি বেসরকারিভাবে হবে। এভাবে একুশটি সেবার কথা বলা হয়েছে যে সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে।
তিনি আরও বলেন, লজিস্টিক চ্যানেলের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো বাধার সৃষ্টি করা যাবে না। অর্থাৎ লজিস্টিক খরচ কমাতে হবে। এতে ১৯ শতাংশ খরচ কমে যাবে রপ্তানির ক্ষেত্রে। আর এটা করতে যা যা করা দরকার, সেই সহায়তা দেয়া হবে। খরচ কমিয়ে সময়মতো সেবা দেয়ার জন্যই আইনটি করা হয়েছে।