পতনেও আগ্রহ বেশি বিমা খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের পুঁজিবাজারে পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কমে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক পতনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার আগ্রহ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। অন্যদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে। ফলে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল এ খাতে। আলোচ্য খাতটিতে শেয়ারদরের পতন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২৮টির দর বেড়েছে এবং ১০টির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। 

খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩টির দর বেড়েছে, ১টির দর কমেছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় ছিল ব্যাংক খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় ভ্রমণ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। এরপর রয়েছে সিমেন্ট খাতের শেয়ার। খাতটিতে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ১ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাত।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বস্ত্র খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৬৩৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭৯৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫৪টি এবং কমেছে ১০৩টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৮৬টির।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬৩ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ১০ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ১৯০ দশমিক ২৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬৮ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা শেয়ার। আগেরদিন ১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৩টি, কমেছে ৬৩টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৮২টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৬ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ৩ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ১৫ দশমিক ৫০ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ১ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৫ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪৫৬ দশমিক ৯০ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৫৮ দশমিক ১৮ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬৯ দশমিক ২৪ পয়েন্টে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০