নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন বেড়ে এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে পতনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল আইটি খাতের শেয়ারে। এতে খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। এতে আলোচ্য খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আইটি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৯টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং দুটির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, বিবিধ এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৮০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা বিমা খাতে শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ। এরপর এক শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল পাট খাত।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৮ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে এক হাজার ১৯৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এই ধরনের লেনদেন গত ২০৩ দিন বা ১৩৭ কার্যদিবস মধ্যে সেরা লেনদেন হিসেবে বিবেচ্য হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৮ নভেম্বর লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬৪টির এবং কমেছে ১১৫টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৮২টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৩৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৮ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১ হাজার ৩৭৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ৭৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৯৪টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭১৪ দশমিক ৫২ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক ২ দশমিক ১৬ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স ২ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৮ দশমিক ৬১ পয়েন্টে এবং ১১ হাজার ১৯৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ৫ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৪১১ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে।