নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক কমার মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়ে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে স্থানে ছিল। অপরদিকে পতনে বিনিয়োগকারীর বিমুখ ও শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১২টির দর বেড়েছে এবং ১৪টির দর কমেছে ও বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিবিধ খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ১৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৮টির দর বেড়েছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ করে দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের শেয়ার। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, সিমেন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, বস্ত্র এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় কাগজ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা পাট খাতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর ১ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাত।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৫৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫৩১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৪ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২০৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫৪টি এবং কমেছে ৬৯টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২০৭টির।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ৭ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে ৩৫টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৬১টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯২ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৫৭ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স দশমিক ৮৪ পয়েন্ট ও সিএসআই ২ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ৭২ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৮০ দশমিক ২১ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৪৯ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ৮ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে।