পতনেও তিন খাতে আগ্রহ বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি ছিল তিন খাতে। এদিন দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বিমা খাতের শেয়ারে। অন্যদিকে এদিন শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে। ফলে আলোচ্য খাতটিতে দর সবচেয়ে বেশি কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২৬টির দর বেড়েছে এবং ২২টির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল মিউচুয়াল ফান্ড খাতের শেয়ার। খাতটিতে শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল বিবিধ খাত। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, সিরামিক, বস্ত্র, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ট্যানারি এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ করে। শেয়ারদর কমায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত। খাতটিতে দর কমেছে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ। ১ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাত।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৬ শতাংশ লেনদেন হওয়া বস্ত্র খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩২৯টি কোম্পানির মধ্যে ১০৯টির শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ৫৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অর্থাৎ দ্বিগুণ পরিমাণ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৭ পয়েন্টে।

এদিন ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৪ কোটি ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭২টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে ৭০০ কোটি ৭৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৩৪ কোটি ৩০ লাখ ৬২ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল পাইনিয়র ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার।

এর পরের তালিকায় ছিল যথাক্রমে ইস্টার্ন হাউজিং, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, সোনালী পেপার, মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রিনডেল্টা ইনস্যুরেন্স, লিগেসি ফুটওয়্যার এবং ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের শেয়ার।

আরেক পুঁজিবাজার সিএসই-এর প্রধান সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৫২ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৬৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ৫৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির দাম।

দিন শেষে সিএসইতে ৮ কোটি ৪৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৩১ কোটি ৭৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩১৩ টাকার শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০