নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন আরও কমে ৬০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এতে এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন ১০০ কোটি টাকার বেশি কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচক পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি থাকায় শেয়ারদর দুই খাতে বেড়েছে। এদিন শেয়ারদর বেশি বেড়েছে বিমা খাতের। অন্যদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন পাট খাতে। আলোচ্য খাতটিতে এদিন সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪১টির দর বেড়েছে এবং সাতটির কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ব্যাংক খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, ভ্রমণ ও অবকাশ এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাকি সব খাতে শেয়ারদর পতন হয়েছে গতকাল।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় পাট খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে শেয়ারদর কমেছে এক শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা সিমেন্ট খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ।
গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩২ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশলী খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। সাত শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
ডিএসইর তথ্যমতে, বাজারটিতে ৩৫৬টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৪ কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ৭৮৮টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৬৩১ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৪৬ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে। এদিন দাম বেড়েছে ৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ১০২টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৬টির।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৪ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ৫ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে।
অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ১৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭২২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ৬৫৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭১টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে ৮ কোটি ৬৭ লাখ ২ হাজার ৮৯ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৫৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৭ টাকার শেয়ার।