পতনেও পাট খাতে দর বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক দিন পরেই সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এর আগে তৃতীয় কার্যদিবসে উত্থান হয়েছিল। এতে চলতি সপ্তাহে তিন কার্যদিবস পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এদিন পুঁজিবাজারের সবগুলো সূচক কমেছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের পতন হলেও বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে উঠে এসেছে পাট খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর শেয়ারদর বেশি বেড়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে। শেয়ারদর বৃদ্ধির তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ এবং ট্যানারি খাতের শেয়ার।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন খাতটিত মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১টি কোম্পানির এবং ১টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জ্বালানি খাতের শেয়ারদর গতকাল বেড়েছে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ২৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩টি কোম্পানির শেয়ারের এবং ১৮টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এরপর দর বৃদ্ধির তৃতীয় স্থানে ছিল কাগজ খাতের শেয়ার। খাতটিতে গতকাল  দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়া ট্যানারি খাত ছিল চতুর্থ স্থানে। আলোচ্য খাতে গতকাল মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১টির শেয়ারদর বেড়েছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে আইটি খাতের কোম্পানির শেয়ারে। খাতটিতে গতকাল শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ৮টির শেয়ারদর কমেছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ারদর কমেছে ৩ শতাংশ। ২ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর কমে গতকাল তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হওয়া কাগজ ও মুদ্রণ খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। গতকাল চতুর্থ স্থানে থাকা জীবন বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে ৫৪০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৪২৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সে হিসাবে গতকাল ডিএসইতে ১১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ২২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২০৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল ৩১৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০টির, কমেছে ৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩০টির।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৫ পয়েন্ট কমেছে। গতকাল সিএসইতে ১১ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০