Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:43 am

পতনেও ভ্রমণ খাতে আগ্রহ বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের পুঁজিবাজারে প্রধান প্রধান সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কমে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। এতে খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন বিমা খাতের শেয়ারে। এতে আলোচ্য খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, ১টির দর কমেছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইটি খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, সিমেন্ট, বস্ত্র, বিবিধ, প্রকৌশলী এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় বিমা খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। পাট খাত শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৬ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বস্ত্র খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ডিএসইতে ৬৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৮১ কোটি ৪৪ টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪৫টি এবং কমেছে ১২১টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৬৮টির।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৮ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৯ দশমিক ২০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৮৫ দশমিক ৫০ পয়েন্টে।

অপরদিক চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন ৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৩টি এবং কমেছে ৮০টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ৭১টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬২০ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৩৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১৪ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ১৭ দশমিক ২৩ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১০ দশমিক ৬০ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৩৮ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬৮ দশমিক ৭০ পয়েন্টে।