নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কমে ৭০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার ক্রয়চাপ বেশি ছিল সিমেন্ট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। সেই সঙ্গে এ খাতে শেয়ারদরে বড় উত্থান হয়েছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে। ফলে খাতটিতে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সিমেন্ট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩টির দর বেড়েছে, দর কমেছে ২টির এবং ২টির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর কমেছে। শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় ছিল ব্যাংক খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রয় চাপ থাকায় ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। এরপর রয়েছে পাট খাতের শেয়ার। খাতটিতে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ২ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৬৯৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৯৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬২ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৫৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে ও ২ হাজার ২০২ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪৪টি এবং কমেছে ৯৮টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২০০টির।
অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ৫৮টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১১৭টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৫১ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স ১০ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৫৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৬১ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৮২ পয়েন্ট ও সিএসই-৩০ সূচক ১২ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৬ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে ও ১৩ হাজার ৪৬০ দশমিক ২৯ পয়েন্টে।