পতনের দিনে দাপট দেখিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে ডিএসইতে লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে ২০ পয়েন্ট কমে সূচক স্থির হয়েছে পাঁচ হাজার ৮১৫ পয়েন্টে। এদিন লেনদেনে আগের চেয়ে প্রায় সব খাতই পিছিয়ে ছিল। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, লেনদেনে সবার শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ২৩ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান চোখে পড়ে প্রায় ১৭ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন ও ব্যাংক খাতে সন্তোষজনক লেনদেন চোখে পড়ে। যদিও এ দুই খাত থেকে গতকালও মুনাফা তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। একই অবস্থা ছিল আর্থিক খাত। এ খাত থেকেও বিনিয়োগকারীরা গতকাল মুনাফা তোলেন। অন্যদিকে গতকাল বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও লেনদেন ভালো অবদান রাখতে পারেনি বিমা খাত। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল সাত শতাংশ।

এদিকে দিন শেষে ডিএসইতে মোট এক হাজার ৪৫৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি টাকার শেয়ার। এ মার্কেটে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৬টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ২০ লাখ ৫৪ হাজার ১৫২টি শেয়ার ৪৩ বার হাতবদল হয়েছে।

ব্লকে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৪ কোটি ৯০ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইফাদ অটোসের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৭ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। এছাড়া সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৫৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকার, বিডি থাইয়ের ৩৩ লাখ টাকার, এমারাল্ড অয়েলের ৩০ লাখ ৩০ হাজার টাকার, এনার্জিপ্যাকের ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার, ফাইন ফুডের ৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৩০ লাখ টাকার, কেডিএস এক্সেসরিজের ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার,  এডিএন টেলিকমের ১৭ লাখ ১০ হাজার টাকার, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার এবং কোহিনূর কেমিক্যালের ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০