মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক কমতে দেখা যায় ৬৯ পয়েন্ট। শতাংশের হিসাবে যা এক শতাংশের বেশি। লেনদেন শেষে সূচকটির অবস্থান ছয় হাজার ৩৫ পয়েন্ট। পাশাপাশি দর কমেছে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর।
গতকাল ডিএসইতে মোট ৩৭২টি কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দর কমে ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের। পাশাপাশি ১৩৩টির দর কমে ও ২২টির দর অপরিবর্তিত থাকতে দেখা যায়।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় ছিল অপেক্ষাকৃত কম দরের শেয়ার। সর্বোচ্চ ১০ টাকা দর রয়েছে এমন শেয়ারে চোখ ছিল বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীর। গতকাল প্রায় ৬২ শতাংশ বিনিয়োগকারীর আগ্রহের তালিকায় ছিল এমন শেয়ার।
অন্যদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, গতকাল চারটি খাত মোট লেনদেনে এককভাবে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়। এ খাতগুলো হচ্ছেÑবস্ত্র, বিমা, বিবিধ এবং ওষুধ ও রসায়ন। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। খাতটি গতকাল মোট লেনদেনে প্রায় ২০ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। পরের অবস্থানে ছিল বিমা খাত। খাতটি মোট লেনদেনে অবদান রাখে ১৮ শতাংশ। লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। খাতটি লেনদেনে ১৪ শতাংশ অবদান রাখে। অন্যদিকে ওষুধ ও রসায়ন খাত মোট লেনদেনে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৩০ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ১১৪ কোটি টাকা ছিল ব্লক মার্কেটের লেনদেন। এ মার্কেটে গতকাল মোট ৫৩টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। কোম্পানিগুলোর এক কোটি ৭০ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮২টি শেয়ার ১২০ বার হাতবদল হতে দেখা যায়।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩০ কোটি ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এসিআইয়ের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৩১ লাখ ২৮ হাজার টাকা মালেক স্পিনিংয়ের। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৯১ লাখ ৮২ হাজার টাকার লেনদেন হতে দেখা যায়।