পতনের ধারা থেকে বেরিয়ে বড় উত্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মঙ্গলবার মূল্যসূচকের ব্যাপক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭৯ পয়েন্ট বা এক শতাংশ বেড়েছে। দর বেড়েছে আড়াইশর বেশি কোম্পানির। টাকার অঙ্কে লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢালাও পতনের পরে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস স্পষ্ট হয়েছে।

মঙ্গলবার লেনদেন শুরুই হয় সূচক বেড়ে। বেলা যত গড়িয়েছে, সূচকে তত বেশি পয়েন্ট যোগ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আগের দুই দিনে সূচক যতটা কমেছিল, তার চেয়ে বেশি ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয়েছে লেনদেন। গতি ফিরেছে লেনদেনেও। আগের দুই দিন লেনদেন ছিল ৬০০ কোটি টাকার ঘরে। সেটি বেড়ে হয়েছে ৯৫৭ কোটি ৬০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

লেনদেনে এগিয়ে থাকা খাতে যথাক্রমে বিবিধ ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ, বস্ত্র ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ, ফার্মা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ, আইটি ১০ দশমিক ৭ শতাংশ এবং প্রকৌশল ৮ দশমিক ৫ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। আর কোনো খাতের লেনদেন সাত শতাংশ অতিক্রম করতে পারেনি।

টানা দুই দিন আতঙ্কে কম দামে শেয়ার বিক্রি করেছেন যারা, তাদের এদিন বেশি দামে কিনতে হয়েছে শেয়ার। এর আগেও পুঁজিবাজারে নানা সময় এই বিষয়টি দেখা গেছে।

পুঁজিবাজারে টালমাটাল পরিস্থিতিতে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে যে চিঠি দিয়েছে, তাতেও বিনিয়োগকারীদের এই অস্থিরতার কথাটি তুলে ধরেছে। চিঠিতে বলা হয়, দেশের পুঁজিবাজারের প্রধান কাঠামোগত সমস্যাগুলোর একটি হলো, খুচরা বিনিয়োগকারীরা বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। খুচরা বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে বিক্রির চাপ বাড়ায়।

এটি বারবার ঘটতে পারেÑএই বিষয়টি উল্লেখ করে বিএমবিএ বলছে, ‘এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের বিশেষ ঋণ সুবিধা বা তহবিল সহায়তার ব্যবস্থা করে বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের শক্তিশালী করতে হবে, যাতে তারা হঠাৎ গুজবসহ অন্য যেকোনো ধরনের পতন থেকে বাজারকে সমর্থন করতে পারে।’

এর এক দিন পরই গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৭টির, কমেছে ৭৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৭টির দর। এর প্রভাবে ডিএসইএক্স ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ছয় হাজার ৭৭১ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ১৯ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে ৩৪ পয়েন্ট।

সূচক যত বেড়েছে তার প্রায় অর্ধেক বাড়িয়েছে ১০টি কোম্পানি। সব মিলিয়ে এই কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত অবদান ছিল ৩৮ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক যে দরপতন, সে সময় কোম্পানিটি শেয়ারদর ধরে রেখেছিল। বরং অল্প অল্প করে বেড়েছে। এক দিনে কোম্পানিটির শেয়ার দরে যোগ হলো ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এতে সূচকে যোগ হয়েছে ৮ দশমিক ২৪ পয়েন্ট।

শীর্ষ দশের তালিকায় ছিল বেক্সিমকো গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা। ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ দর বৃদ্ধির কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৪ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে লভ্যাংশ-সংক্রান্ত ঘোষণার পর দর হারানো রবি। এছাড়া স্কয়ার ফার্মা ৪ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট, লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট ৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট, রেনাটা ২ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট, ওয়ালটন ২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট, সোনালী পেপার ২ দশমিক ০৬ পয়েন্ট, পাওয়ারগ্রিড ১ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট ও ব্র্যাক ব্যাংক ১ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট যোগ করেছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০