রুবাইয়াত রিক্তা:টানা চার কার্যদিবস সূচকের উত্থানের পর গত দুদিন ধরে সংশোধন হচ্ছে বাজার। আগেরদিন সূচক সামান্য কমলেও গতকাল ৬৭ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। এতে করে সূচকে বড় সংশোধন হয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৪২ পয়েন্ট। লেনদেনও আগের কার্যদিবসের তুলনায় সামান্য কমেছে। গতকাল মাত্র ২২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রায় সব খাতেই বড় দরপতন হয়। ব্যাংক ও আর্থিক খাতে লেনদেন কমেছে, অন্যদিকে বেড়েছে বিমা খাতে। তবে বিমা খাতেও দরপতনের হার বেশি ছিল। পতনমুখী বাজারে একমাত্র ভরসা ছিল মিউচুয়াল ফান্ড খাত। এ খাতে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি দরও বেড়েছে। বেশকিছু খাত যেমন, সিরামিক, তথ্য ও প্রযুক্তি, পাট, কাগজ এবং মুদ্রণ, সেবা ও আবাসন, টেলিযোগাযোগ খাত শতভাগ নেতিবাচক ছিল।
দুই শতাংশ বেড়ে মোট লেনদেনের ২১ শতাংশ বা ৮০ কোটি টাকা হয় বিমা খাতে। এ খাতে ৫৬ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। প্রায় ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে বিমা খাত। দর বেড়েছে দেড় টাকা। গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের প্রায় ৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে দেড় টাকা। রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাড়ে ছয় কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২০ পয়সা। দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় উঠে আসে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এরপরে ১৪ শতাংশ করে লেনদেন হয় প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে। প্রকৌশল খাতে ৭৭ শতাংশ কোম্পানির দর কমেছে। ন্যাশনাল টিউবসের ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দরপতন হয় ছয় টাকা ৮০ পয়সা। সুহƒদ ইন্ডাস্ট্রিজের প্রায় সাত কোটি টাকা লেনদেন হয়, দরপতন হয় এক টাকা ৮০ পয়সা। ওষুুধ ও রসায়ন খাতে ৬৯ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। এ খাতের রেনাটার সোয়া ১১ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ২৮ টাকা ৭০ পয়সা। ওয়াটা কেমিক্যালের সাড়ে ১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। বস্ত্র খাতে ৭২ শতাংশ কোম্পানি পতনে ছিল। গতকাল একমাত্র মিউচুয়াল ফান্ড খাতে দর বেড়েছে ৫৯ শতাংশ। দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে ছয় ফান্ড। এসব ফান্ডের ইউনিটের দর সাড়ে তিন থেকে সাড়ে আট শতাংশ বেড়েছে। এ খাতে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে দুই শতাংশ। চামড়া শিল্প খাতের এ্যাপেক্স ট্যানারি, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের সী পার্ল রিসোর্ট দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। ব্যাংক খাতে লেনদেন কমেছে চার শতাংশ ও আর্থিক খাতে লেনদেন কমেছে দুই শতাংশ।