নিজস্ব প্রতিবেদক:আগের দিনের ধারাবাহিকতায় গতকাল সপ্তাহের শেষদিনে নেতিবাচক লেনদেন হয়েছে উভয় বাজারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬০ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। এতে করে ডিএসইএক্স সূচক ২৫ পয়েন্ট নেতিবাচক অবস্থানে চলে যায়। বাকি দুই সূচকও নেতিবাচক ছিল। লেনদেন ৯৬ কোটি টাকা কমে ৪১৫ কোটি টাকা হয়েছে। লেনদেনের শুরু থেকেই সূচক বারবার বিশাল ব্যবধানে উঠানামা করে ধীরে ধীরে নি¤œমুখী হয়। শেষ পর্যন্ত পতন দিয়ে শেষ হয় লেনদেন। চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে চার হাজার ৩৮৪ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করে।
ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক সাত দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে এক হাজার ১৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক সাত দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৬২ দশমিক ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন দুই হাজার ১৮৭ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৭ কোটি ছয় লাখ ১৬ হাজার টাকায়। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৪১৫ কোটি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫১০ কোটি ৬৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ৯৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এদিন ১৫ কোটি ৬৪ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৭টি শেয়ার এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৭ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৫৫ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫টির, কমেছে ২১৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৭টির দর।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর কমেছে ৮০ পয়সা। এরপরে ওরিয়ন ফার্মার আট কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর কমেছে এক টাকা ৭০ পয়সা। নাহি এলুমিনিয়াম ক্যাপিটালের সাত কোটি ৯৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে তিন টাকা। বীকন ফার্মার সাত কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে পাঁচ টাকা ৬০ পয়সা। সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের সাত কোটি ৬১ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১২ টাকা ২০ পয়সা। এছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশনের সাত কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাড়ে সাত কোটি, ভিএফএস থ্রেড ডায়িংয়ের সাত কোটি ৩৯ লাখ টাকা, হাক্কানি পাল্পের সাত কোটি ১৪ লাখ ও সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। হাক্কানি পাল্পের দর ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের দর ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ, বিডি অটোকারের দর ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, এমএল ডায়িংয়ের দর ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের দর আট দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের দর আট দশমিক ৩৫ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার দর সাত দশমিক ৭৪ শতাংশ, এপেক্স স্পিনিংয়ের দর সাত দশমিক ৭১ শতাংশ, বীকন ফার্মার দর সাত দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়েছে।
৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে দরপতনের শীর্ষে উঠে আসে তুংহাই নিটিং। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের দর আট দশমিক ১০ শতাংশ কমেছে। বে লিজিংয়ের দর সাত দশমিক ৬৩ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের দর ছয় দশমিক ৫০ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ছয় দশমিক ৪৩ শতাংশ, জিল বাংলা সুগার মিলের দর ছয় দশমিক ২৬ শতাংশ, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের দর পাঁচ দশমিক ৭৪ শতাংশ, জিপিএইচ ইস্পাতের দর পাঁচ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সায়হাম টেক্সটাইলের দর পাঁচ দশমিক ৫২ শতাংশ ও প্রিমিয়ার লিজিংয়ের দর পাঁচ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমেছে।
অন্যদিকে সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ৫১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৬২ শতাংশ কমে আট হাজার ১২৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৭ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সর্বমোট ২৪৩ কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৬২টির, অপরিবর্তিত ছিল ২১টির দর।
সিএসইতে এদিন ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৯৮৬ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২০ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে চার কোটি সাত লাখ টাকা।
সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। কোম্পানিটির এক কোটি এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এরপরের অবস্থানগুলোতে থাকা ভিএফএস থ্রেড ডায়িংয়ের এক কোটি, সি পার্ল রিসোর্টের ৬৮ লাখ, সামিট পাওয়ারের ৫০ লাখ, সেন্ট্রাল ফার্মার ৪৬ লাখ, খুলনা প্রিন্টিং ও প্যাকেজিংয়ের ৪৪ লাখ, বেক্সিমকোর ৪৩ লাখ ও ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ৪০ লাখ, হাক্কানি পাল্পের ৩৪ লাখ ও বীকন ফার্মার ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।