স্পেনে যৌন পেশাসহ পতিতাবৃত্তি তুলে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। এই পেশা নারীদের দাস বানায় বলেও উল্লেখ করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: বিবিসি।
স্পেনের ভ্যালেনসিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় সোশ্যালিস্ট পার্টির তিন দিনের কংগ্রেস। কংগ্রেসের সমাপনী অনুষ্ঠানে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন পেদ্রো সানচেজ। সেখানে তিনি দেশটিতে যৌন পেশা বিলোপের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন।
স্পেনে যৌন পেশার আর্থিক মূল্য প্রায় ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরো বলে ২০১৬ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
২০০৯ সালের একটি জরিপে দেখা যায়, যৌনতার জন্য অর্থ খরচ করেন প্রতি তিনজন স্প্যানিশ পুরুষের মধ্যে একজন।
জাতিসংঘের ২০১১ সালের এক গবেষণায় বিশ্বে যৌন পেশার তৃতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র হিসেবে স্পেনের নাম উঠে আসে। এ তালিকায় প্রথমে রয়েছে থাইল্যান্ড, দ্বিতীয় পুয়ের্তো রিকো।
স্পেনে বর্তমানে অনেকটা অনিয়ন্ত্রিতভাবে যৌন পেশা পরিচালিত হচ্ছে। স্পেনে প্রায় তিন লাখ নারী যৌন পেশায় জড়িত বলে ধারণা করা হয়।
২০১৯ সালে পেদ্রো সানচেজের দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যৌন পেশাকে অবৈধ ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নির্বাচনী ইশতেহারে নারীদের যৌন পেশায় আসার বিষয়কে দারিদ্র্যের অন্যতম নিষ্ঠুর দিক হিসেবে অভিহিত করা হয়। এতে আরও বলা হয়, নারীর প্রতি সহিংসতার অন্যতম একটি নিকৃষ্ট দিক হলো যৌন পেশা।
অবশ্য নির্বাচনের দুই বছর পার হলেও এখনো দেশটিতে যৌন পেশাকে বিলোপ করার ঘোষণাসংক্রান্ত কোনো আইন পার্লামেন্টে তোলা হয়নি।