Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 11:45 pm

পতিত জমিতে থাই পেয়ারা চাষ

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় থাই পেয়ারা চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি চামুন্ডা গ্রামের মৃত আ. হাকিম মিয়ার ছেলে। অবসরপ্রাপ্ত এ সৈনিক ৫৬ বছর বয়সেও তার দৃঢ় মনোবল ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি দিয়ে ২৭ বিঘা জমিতে থাই পেয়ারা বাগান ও ২১ বিঘা জমিতে আম্রপালি, হাঁড়িভাঙ্গাসহ উন্নত জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। তার বাগানের উৎপাদিত থাই পেয়ারা এখন এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দিনাজপুর, সৈয়দপুর, রংপুর, সিলেট ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। তিনি তার পেয়ারা বাগানের নাম দিয়েছেন গ্রিন জোন।
জহিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০৭ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন তিনি। চাকরি থেকে অবসর নিলেও জীবনযুদ্ধে না থেমে বিভিন্ন ব্যবসার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যবসায় সুবিধা করতে না পেরে নিজেকে কৃষিকাজে নিয়োজিত করেন। আম ও থাই পেয়ারার বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখেন। সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করেন। ২০০৯ সালে প্রথমে তিনি তার নিজ জমিতে ব্যবসায়িকভাবে উন্নত জাতের আমবাগান করেন। আমবাগান থেকে তিনি লাভবান হওয়ায় তার নিজ জমি ও অন্যের পতিত জমি লিজ নিয়ে ২৭ বিঘা জমিতে থাই পেয়ারার বাগান করেন। চারা রোপণের বছরের মাথায় তার পেয়ারা বাগানে পেয়ারা ধরে। তার বাগানে বর্তমানে পাঁচ হাজার থাই পেয়ারা গাছ রয়েছে। তিনি আশা করছেন, চলতি বছরে তার বাগান থেকে তিনি কোটি টাকার পেয়ারা বিক্রি করতে পারবেন। তার জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু মিসরীয় মালটা ও সফেদা গাছ লাগিয়েছেন। এগুলো থেকে আশানুরূপ ফল পেলে তিনি বাণিজ্যিকভাবে মালটা ও সফেদা চাষ করবেন।
তার বাগানে গ্রামের শতাধিক নারী ও পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। চামুন্ডা গ্রামের কৃষক মো. মান্নান জানান, জহিরুল ইসলামের সাফল্য দেখে উৎসাহিত হয়ে তার বাগানের আশেপাশে আরও নতুন বাগান গড়ে উঠছে। তার বাগানে সারা বছর প্রায় অর্ধশত শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন, ফলে এলাকার বেকারত্বও কিছুটা কমেছে।
একই গ্রামের ফরহাদ ইসলাম জানান, আমি তার পরামর্শে চার বিঘা জমিতে থাই পেয়ারার বাগান করেছি। এটা খুব লাভজনক। জহিরুল ইসলাম আমাদের সব সময় সুপরামর্শ দেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এখানকার মাটি ফল চাষের উপযোগী।

ছামিউল ইসলাম আরিফ