পথশিশুদের সুরক্ষা

ড. শিল্পী ভদ্র: সারা বিশ্বের ১২ কোটি পথশিশুর একাংশ রয়েছে বাংলাদেশে। পথেঘাটে বা রাস্তায় বেড়ে ওঠে  যেসব শিশু, তারাই পথশিশু। ‘পথশিশু’ নিয়ে আছে নানা মুনির নানা মত। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শূন্য থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত যেসব শিশু রাস্তায় দিনাতিপাত করে, যাদের নিজেদের বা পরিবারের কোনো স্থায়ী আবাসস্থল নেই, তারাই পথশিশু।

‘একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থার ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা আনুমানিক ১০ লাখ। অন্যদিকে অপর একটি সংস্থার জরিপ অনুযায়ী দেশে (২০১৫ সালে) পথশিশুর সংখ্যা ২৫ লাখ। এর মধ্যে আড়াই থেকে তিন লক্ষাধিক পথশিশুর অস্থায়ী আবাস রাজধানী ঢাকার পিচঢালা পথে।’ [সূত্র: সংবাদ (মতামত>মুক্ত আলোচনা), ইসমাইল মাহমুদ, ২ অক্টোবর ২০১৯]।

শিশুদের পথশিশুতে পরিণত হওয়ার পেছনেও রয়েছে নানা কারণ। এই শিশুদের বেশিরভাগেরই নেই কোনো পরিবার, আবার অনেকেই পরিবার থেকে পালিয়ে আয়ের জন্য পথশিশুদের দলে যোগ দেয়। নদীভাঙন, বন্যা কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরবাড়ি হারানো মানুষদের একটি বড় অংশ জীবন বাঁচাতে, জীবিকার প্রয়োজনে এসে ঠাঁই নেয় শহরের বস্তিগুলোয়। বস্তি কিংবা নি¤œআয়ের পরিবারগুলোয় অর্থাভাব, বেকারত্ব, শিক্ষার অভাবসহ নানা কারণে সামাজিক ও পারিবারিক কলহ লেগেই থাকে। বাবা-মায়ের বিয়েবিচ্ছেদ কিংবা নিত্য পারিবারিক কলহের মতো ব্যাপারগুলো শিশুদের অনেক বেশি প্রভাবিত করে।

বস্তি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোয় পারিবারিক কলহ কিংবা নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুদের একটি বড় অংশ ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এই পরিবারগুলো যে চরম দারিদ্র্যের শিকার, তা বলাই বাহুল্য। আর এই দারিদ্র্যের কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই শিশুদের একটি বড় অংশ পরিবারের বাড়তি আয়ের জন্যই পথে নামে। স্বভাবতই তারা অবহেলা, অনাদর, অযতœ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে ওঠে। জীবনের মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত এই শিশুদের অনেকে স্কুলে গেলেও অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বিভিন্ন কারণে ঝরে পড়ে। দেখা যায়, জীবন ও জীবিকার তাগিদে তাদের নানা ধরনের কাজের সঙ্গেই জড়িত হতে হয়।

শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষার প্রাকৃতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাসমান এই শিশুদের একটি বড় অংশের কোনো স্থায়ী বাসস্থান থাকে না। রেলস্টেশন, বাসস্টপ ও লঞ্চ টার্মিনাল থেকে শুরু করে ওভারব্রিজ, ফুটপাথ ও পার্কের বেঞ্চের মতো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাত কাটায় এসব শিশু। প্রায়ই তাদের থাকার জায়গা পরিবর্তিত হয়ে তাদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, কোনো শিশুর যে পরিমাণ ঘুম দরকার, দিনের পর দিন সেটি থেকে বঞ্চিত হওয়ায় তার মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে।

ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়া গাড়ি কিংবা বাসে ভিক্ষা করা, ফুল, আচার, কিংবা রুমাল বিক্রি এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র রাজপথে ফেরি করা ছাড়াও গার্মেন্ট ও কারখানায় কাজ, বাস-ট্রাকের হেলপারের কাজ, এমনকি নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত আছে ভাগ্যবিড়ম্বিত এ শিশুরা। তাদের বেশিরভাগেরই অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটে। তারা অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ত। ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দৈনিক আয় করা এই শিশুদের নেই নিয়মিত কোনো খাবার জায়গাও। শুধু খাদ্য ও বাসস্থানই নয়, পথশিশুরা পায় না কারও কাছ থেকেই ভালো আচরণ। দেখা যায়, মানসিক বিকাশ হওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন, তারা তা থেকেও বঞ্চিত।

পথশিশুরা মাদকদ্রব্য বিক্রি, পকেট মারা, চুরি, ছিনতাই, যৌনকর্মসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়। অনেক শিশু আছে, যাদের অভিভাবকরাই তাদের চুরি, যৌনকর্মসহ নানা অসৎ কাজে আসতে বাধ্য করে। অথচ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’-এর ৯ ধারায় বলা হয়েছে, ১৪ বছরের কম কোনো শিশুকে দিয়ে জোর করে যৌনকর্ম করানো যাবে না এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের ৩৭৫ ধারামতে এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের কল্যাণে ১৯৭৪ সালের ২২ জুন জাতীয় শিশু আইন জারি করেছিলেন, যার মাধ্যমে শিশুদের নাম ও জাতীয়তার অধিকারের স্বীকৃতি, সব ধরনের অবহেলা, শোষণ, বঞ্চনা, নিষ্ঠুরতা, নির্যাতন, খারাপ কাজে লাগানো প্রভৃতি থেকে নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা হয়।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম (সিপ)’ ২০১৬ সালে পথশিশুদের নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়, পথশিশুদের ৮৫ শতাংশই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদকে আসক্ত। সংগঠনটির তথ্যানুযায়ী, ঢাকা শহরে কমপক্ষে ২২৯টি স্পট রয়েছে, যেখানে ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সি পথশিশুরা মাদক সেবন করে থাকে। পথশিশুরা সাধারণত গাঁজা, ড্যান্ডি ও পলিথিনের মধ্যে গামবেল্ডিং দিয়ে ও পেট্রল শুঁকে নেশা করে। ৪১ শতাংশ পথশিশুর ঘুমানোর বিছানা নেই, ৪০ শতাংশ শিশু প্রতিদিন গোসলহীন থাকে, ৩৫ শতাংশ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে, ৫৪ শতাংশ শিশু অসুস্থ হলে দেখার কেউ নেই ও ৭৫ শতাংশ শিশু অসুস্থতায় ডাক্তারের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারে না।

এই পথশিশুদের সমস্যাগুলোর সমাধানে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, দাতাগোষ্ঠী ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। তবে এই শিশুদের পুনর্বাসনে পূর্ণাঙ্গ কোনো কার্যক্রম নেওয়া হয়নি। পথশিশুদের সমস্যা নিরসনে তাদের পুনর্বাসন করা খুব প্রয়োজন। এর গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পথ থেকে এই শিশুদের ঠিকানা পাল্টানোর নির্দেশ দেন। কোনো শিশু পথে থাকবে না, তা জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয় পথ শিশুদের পুনর্বাসনে। এর পরই কমলাপুর ও কারওয়ান বাজারে পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়।

২০১৭ সালের জুলাইয়ে জাতীয় সংসদেও জায়গা করে নেয় পথশিশুরা। নির্বাচিত প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। এতে শিশুরা প্রশিক্ষণ, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা, উম্মুক্ত স্কুল, বিনোদনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়। এর বাইরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বেসরকারি সংগঠন ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’-এর সহায়তায় ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সালের মে মাস থেকে পরিচালিত ছয়টি শিশু বিকাশ কেন্দ্রে দুস্থ ও পথশিশুদের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা ‘শিশু হেল্প লাইন-১০৯৮’-এর মাধ্যমে এক লাখের বেশি শিশুকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শহুরে শিশুদের বাল্যবিয়ে থেকে মুক্ত রাখা, শারীরিক নির্যাতন প্রতিরোধসহ বিভিন্ন শর্তে ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১১টি জেলা শহরে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুরা সুবিধা পাচ্ছে। সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক বিকাশ, একাডেমিক শিক্ষার ব্যবস্থা, ভরণ-পোষণ এবং ভবিষ্যৎ জীবনে স্বাবলম্বী করে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেসরকারি সংস্থাগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ।

দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ শিশু। তার মধ্যে ১৫ শতাংশ হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত শিশু। ‘বাংলাদেশ শিশু আইন, ২০১৩’-এর ৮৯ অনুচ্ছেদে ১৬টি ক্যাটেগরিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুর কথা বলা হয়েছে। ‘বিশ্ব শিশু অধিকার সপ্তাহ, ২০১৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে পথশিশু পুনর্বাসনের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিশুরা কেন রাস্তায় ঘুরবে? একটা শিশুও রাস্তায় ঘুরবে না। একটা শিশুও এভাবে মানবেতর জীবনযাপন করবে না।’ এ লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে একযোগে পথশিশুদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। এই নির্দেশনার ওপর ভিত্তি করে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে একটি জরিপের কাজ করে। পরে ২০১৬ সাল থেকে পথশিশু পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নেয়। সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের পুনর্বাসনে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

পথশিশু কারা এবং তাদের অবস্থা ও সঠিক সংখ্যার ডেটাবেজ তৈরির ব্যবস্থা নিতে হবে। পথশিশু-সংশ্লিষ্ট তথ্যসহায়ক পুস্তিকা প্রকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে। পথশিশুদের জন্য শেল্টার হোম ব্যবস্থাপনায় স্ট্যান্ডার্ড কমন গাইডলাইন থাকাসহ এ বিষয়ে যথাযথ মনিটরিং ও সমন্বয় থাকতে হবে; পথশিশু তৈরি হওয়ার উৎসমুখ বন্ধে ক্যাম্পেইন ও জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হবে; প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী ও কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে পথশিশুদের; মনঃসামাজিক সেবা প্রদানে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। মাদকাসক্ত পথশিশুদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের পরিচয়, ঠিকানা ও জš§নিবন্ধনের ব্যবস্থা নিতে হবে। পথশিশুদের জন্য শিশুপ্রতি অর্থ বরাদ্দ রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিশুরা হচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ। পরিপূর্ণভাবে শিশুর বিকাশ ও উন্নয়ন ব্যাহত হলে জাতি মেধাশূন্য নেতৃত্ব পাবে, থেমে যাবে জাতির অগ্রগতি। তাই সব বিষয়ের ঊর্ধ্বে শিশুদের স্বার্থ রক্ষার কাজ করতে হবে। একটি পৃথক শিশু অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে শিশুদের স্বার্থে যথাযথ পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও সমন্বয় করে দেশব্যাপী কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়।

২০১৫ সালে ১১০ পথশিশু নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ‘আরফান ফ্যামিলিস স্মাইলিং বেবি ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব অর্থায়নে তাদের কার্যক্রম শুরু করে অদ্যাবধি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পথশিশুরা যাতে উন্নত জীবন পায়, সে লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি তাদের খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা আরফান উদ্দিনের মতো বাংলাদেশের প্রতি ৫০ জন মানুষ যদি একজন করেও পথশিশুর দায়িত্ব নিয়ে তাদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, এদেশে তাহলে আর কোনো পথশিশুই থাকবে না।

এ লক্ষ্যে সব সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুর কল্যাণে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত উদ্যোগ, সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা। তবেই বাংলাদেশ একদিন পথশিশুমুক্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী রোল মডেল হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করবে।

পিআইডি নিবন্ধ

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০