শেয়ার বিজ ডেস্ক: কস্টকো হোলসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্রেগ জেলেনেক পদত্যাগ করছেন। নতুন সিইও হচ্ছেন কস্টকোর প্রেসিডেন্ট ও সিওও রন ভাক্রিস। কোম্পানিটি গত বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছে। খবর: সিএনএন।
জেলেনেক ২০১২ সাল থেকে কস্টকোর সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার মেয়াদে কোম্পানির শেয়ার দর পাঁচগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ওয়ালমার্ট ও আমাজনের পর যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতা কস্টকো। বিশ্বে কস্টকোর ৮৬১টি ওয়্যারহাউজ রয়েছে। এর মধ্যে ৫৯১টি আমেরিকায়।
কোম্পানিটি রিটেইল ইন্ডাস্ট্রিতে কম দামে জিনিসপত্র বিক্রির জন্য পরিচিত। ২০২২ সালে এর প্রায় ৬৬ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ৬ লাখ পেইড মেম্বার এবং ১১৯ মিলিয়ন বা ১১ কোটি ৯০ লাখ কার্ডধারী ছিল। কেনাকাটার জন্য কস্টকো সদস্যদের প্রতি বছর নিয়মিত সদস্যপদের জন্য ৬০ ডলার এবং কার্ডের জন্য ১২০ ডলার গুনতে হয়।
আমাজন ও স্যামস ক্লাবের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী তাদের সদস্য ফি বাড়ানোর পরও ২০১৭ সাল থেকে সদস্য ফি বাড়ায়নি কস্টকো।
সদস্য বৃদ্ধির বিষয়টি কস্টকো ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কভিড-১৯ মহামারিতে এ কারণে বেশ ব্যবসা করে কোম্পানিটি। সদস্য ফি কোম্পানিটির লাভ এবং খরচে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। ফলে কস্টকো পণ্যের দাম সাধারণত কম হয়ে থাকে।
সবশেষ অর্থবছরে কস্টকোর রাজস্ব হয়েছে ২২৬ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন বা ২২ হাজার ৬৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন বা ৪২০ কোটি ডলার এসেছে সদস্যপদ ফি থেকে।
চলতি বছরের শুরুতে কস্টকো জানায়, তারা এখন থেকে প্রত্যেক ক্রেতার কাছে তাদের মেম্বারশিপ কার্ড দেখতে চাইবে। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণে তারা দেখেছে, সদস্যদের কার্ড ব্যবহার করে যারা সদস্য নন তারাও কস্টকো থেকে সস্তায় বাজার করে নিচ্ছেন। বিশেষ করে সেলফ চেক আউট সার্ভিস চালু হওয়ার পরে এ ঘটনা অনেক বেড়েছে। তবে কস্টকো মনে করে না, যারা সদস্য নন তারা নিয়মিত সদস্যদের মতো সমান সুবিধা ভোগ করুন।
কস্টকো বলছে, শুধু সদস্যরাই তাদের কার্ড দিয়ে বাজার করতে পারবে। অতিরিক্ত কেউ সে সুবিধা নিতে চাইলে ওই কার্জে তাদের নাম অতিরিক্ত সদস্য হিসেবে যুক্ত হতে হবে।