শেয়ার বিজ ডেস্ক: পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। গতকাল বুধবার এক বক্তৃতায় এই ঘোষণা দেন তিনি। কম্বোডিয়ার হুন সেন বুধবার এক বক্তৃতায় বলেছেনÑতিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন এবং তার বড় ছেলে হুন মানেত তিন সপ্তাহের মধ্যে দায়িত্ব নেবেন। খবর: রয়টার্স।
হুন সেন বলেন, আমি ক্ষমতাসীন দলের প্রধান এবং জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। নবনির্বাচিত পার্লামেন্ট আগামী ২১ আগস্ট এবং নতুন মন্ত্রিসভা আগামী ২২ আগস্ট শপথ নেবে।
গত রোববার এ দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শক্তিশালী প্রতিপক্ষহীন একতরফা ওই নির্বাচনে ভূমিধস জয়ের দাবি করে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের রাজনৈতিক দল কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)।
৩৮ বছর ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া শাসন করছেন হুন সেন। চলতি সপ্তাহে কম্বোডিয়ায় সাধারণ নির্বাচনে তার দল ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও নির্বাচিত হওয়ার কয়েকদিন পর হুন সেন এ ঘোষণা দিলেন।
সমালোচকরা দেশটির এবারের সাধারণ নির্বাচনকে ব্যাপক প্রতারণা আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এমনকি দেশটির শক্তিশালী কোনো বিরোধী দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের হুন সেনের সিপিপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা নেই।
সমালোচকরা বলছেন, হুন সেন তার বড় ছেলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে দলের ক্ষমতায় থাকার পথ পোক্ত করতেই বিরোধী শক্তিবিহীন এ নির্বাচন আয়োজন করেন।
এ ঘটনার পর কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে দেশটিতে কিছু বিদেশি সহায়তা কর্মসূচিও স্থগিত করার ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন। মূলত গণতন্ত্রকে অবমূল্যায়ন ও ধ্বংসসাধনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
সিপিপির সঙ্গে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল আরও ১৭টি রাজনৈতিক দল। যদিও এ ১৭টি দলের বেশিরভাগই নামসর্বস্ব। তাদের কোনো দলই এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে একটি আসনেও জয় পায়নি। তাই ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ এ নির্বাচনের পরপর কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি কিছু সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগকে পাত্তা দেননি হুন সেন। নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি তার বড় ছেলে হুন মানেতের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন।