শেয়ার বিজ ডেস্ক: পদ্মা সেতু এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত, নৌ-চলাচল ও পিলার কেন্দ্রিক নজরদারির লক্ষ্যে পদ্মা সেতু উত্তর ও দক্ষিণ নামে দুটি থানা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রাজারবাগ পুলিশ মিলনায়তনে পদ্মা সেতু উত্তর থানা ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে থানা দুটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় বিপদে পড়া মানুষের ভরসাস্থল হয়ে ওঠার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি দুনিয়ার অনেক জায়গায় গিয়েছি। গ্রেট ব্রিটেনে দেখেছি, একজন সিপাহিকেও জনসাধারণ শ্রদ্ধা করে। কোনো পুলিশ কর্মচারীকে দেখলে তারা আশ্রয় নেয়ার জন্য তার কাছে দৌড়ে যায়। তারা মনে করে পুলিশ তাদের সহায়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেও পুলিশ বাহিনী সেভাবেই জনগণের আস্থা অর্জন করবে, যেন জনগণ মনে করে যে তার জীবন রক্ষায়, মান রক্ষায় পুলিশই হচ্ছে শেষ ভরসা। কাজেই সেই ভরসার স্থান হিসেবে পুলিশকে জনগণের সামনে নিজেকে তুলে ধরতে হবে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকার কথা স্মরণ করে এই বাহিনীর প্রশংসাও করেন সরকার প্রধান। বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ মে সারদা পুলিশ একাডেমিতে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘আপনারা জনগণের সাহায্য-সহযোগিতায় এদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবেন’। জাতির পিতার এই নির্দেশ আপনারা মেনে চলবেন, সেটাই আমি চাই।
প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে ‘পদ্মা সেতু (উত্তর) থানা’ ও ‘পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) থানা’ উদ্বোধনের পাশাপাশি গৃহহীন, ভূমিহীন অসহায় মানুষের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর, নবনির্মিত ১২টি পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ছয়টি নারী ব্যারাক এবং অনলাইন জিডি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন।