পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ-টোল আদায় করবে কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান কেইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শেষে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে এবং জনস্বার্থে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। অটোমেশন পদ্ধতিতে এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টোল আদায়ে একটি মাইলফলক সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে সরকার।

গতকাল সচিবালয়ে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সাংবাদিকদের জানান, আজকের অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত সভায় দুই প্রস্তাব উত্থাপিত হলে দুটি প্রস্তাবই নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের লক্ষ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে সার্ভিস প্রভাইডার নিয়োগের সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাই রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে এবং জনস্বার্থে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে কেইসিকে নিয়োগের নিমিত্ত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-এর ৭৬(২) বিধি-তে উল্লিখিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বের ক্রয়ের প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সব দেশে ঘর থেকে বের হলে কোনো না কোনোভাবে সরকারকে টোল দিতে হয়। ব্রিজ, রাস্তাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও টোল দিতে হয়, যাতে করে এগুলো মেনটেইন করা যায়। আমাদের দেশের এ ব্যবস্থাটি এখনও চালু করতে পারিনি। যেসব ক্ষেত্রে চালু রয়েছে সেগুলো ম্যানুয়ালি। তাই মানুষজন অনেক কষ্ট পায়। সেগুলো এখনও আমরা অটোমেশন করতে পারিনি।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) কন্ট্রাক দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেইসি কোরিয়ার অলমোস্ট সব টোল ম্যানেজ করে। আমরা টোল ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে রয়েছি, যদি এদের আমরা পাই তাহলে টোল ব্যবস্থাপনায় একটা মাইলফলক সৃষ্টি হবে। সেজন্য জাতীয় স্বার্থে আমরা এ প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছি।

বৈঠকে অপর একটি প্রস্তাবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীতীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজগুলো রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ-২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) ও পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুসারে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণে বাস্তবায়নের প্রস্তাব শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ প্রকল্প সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ প্রস্তবটি আমরা সরাসরি অনুমোদন দিতে পারিনি। তবে শর্তসাপেক্ষে তাদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম শর্ত হচ্ছেÑএকনেকে যে প্রাইস নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তা বাড়ানো যাবে না। তাছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কোনো ক্রয় প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগে সে অনুমোদনও নিতে হবে। এ দুটি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০