শেয়ার বিজ ডেস্ক: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান বানচাল করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতসহ দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র রুখতে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্ত্রী গতকাল শুক্রবার বিকালে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে জেলার সার্কিট হাউসে পৌঁছালে সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। খবর: বাসস।
পদ্মা সেতু নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয়,আমাদের দেশ ও বঙ্গবন্ধুকন্যার সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক। সেতু হওয়ায় সারাদেশের মানুষ খুশি হলেও খুশি হতে পারেনি জামায়াত-বিএনপি ও মধ্যরাতের টিভির কিছু টকশো বিশেষজ্ঞ। সে কারণে সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত ও দেশবিরোধী অপশক্তি নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ট্রেনসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। আমি দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’
কুসিক নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থী ও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, পরাজিত প্রার্থীরাও তাই বলেছেন এবং নির্বাচনকালে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। তবে আমরা আশা করেছিলাম, আমাদের প্রার্থী আরও বেশি ব্যবধানে জয়লাভ করবেন।’
তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী অধিকাংশ কাউন্সিলরই আওয়ামী লীগের, মেয়র পদে জয়ে আরও বেশি ব্যবধান প্রত্যাশিত ছিল।
ড. হাছান বলেন, ‘কারণ সেখানে কাউন্সিলরদের ২৭টি পদের মধ্যে ২০টিতেই আমাদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। আর মহিলা কাউন্সিলরদের ৯টি পদের সাতটিতেই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। যেখানে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়জয়কার, সেখানে মেয়র পদে আমাদের প্রার্থীর আরও অনেক বেশি ভোট পাওয়ার কথা ছিল।’
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গত সাড়ে ১৩ বছরে বাজেটের আকার ৭ থেকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমেছে, অতি দারিদ্র্য কমে ১০ শতাংশে এসেছে। কিন্তু সিপিডি, টিআইবিসহ কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, যারা কখনোই বাজেটের প্রশংসা করতে পারেন না। বাজেট নিয়ে তাদের বুদ্ধি লোপ পায় কেন, বোধগম্য নয়।’
পরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ওয়ারেছ আলী প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম সামশীর সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি প্রধান অতিথি, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুন বাবলু উদ্বোধক ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি এবং কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি।