নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসনের জন্য আরও ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। গতকাল শনিবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ সভায় বাড়তি অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের নদীশাসন কাজের এক্সটেনশন অব টাইমের ক্লেইমজনিত কারণে মূল্য বৃদ্ধির ভেরিয়েশন প্রস্তাব এসেছিল সেতু বিভাগ থেকে। মূল চুক্তিমূল্য ছিল আট হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৬ টাকা। এর সঙ্গে ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ টাকা বা ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে মোট চুক্তিমূল্য দাঁড়াচ্ছে ৯ হাজার ৮৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৯ টাকা। চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিনোহাইড্রো করপোরেশন এই নদীশাসনের কাজ করছে।’
এদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফোর্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন করা হয়। প্রতি টন ৩২২ দশমিক ৫০ ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হচ্ছে ১১৪ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর আগে প্রতি টনের দাম ছিল ২৭১ দশমিক ৫০ ডলার।
বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের এসএমভিটি লেনসহ চার লেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের প্যাকেজ ডব্লিউপি-০৩-এর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
এক হাজার ৩৮৬ কোটি ১২ লাখ দুই হাজার ৫৯২ টাকায় এই কাজ করছে চায়না ন্যাশনাল কেমিক্যাল কমিউনিকেশন।
টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দুই কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হয়। সিটি এডিবল অয়েলের কাছ থেকে মোট ৩৩১ কোটি পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টাকায় এই পণ্য কেনা হচ্ছে। প্রতি লিটারের মূল্য ১৫০ দশমিক ৪৮ টাকা।
টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উš§ুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এক কোটি ১০ লাখ রাইস ব্র্যান তেল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে। প্রতি লিটার ১৪৭ টাকা ৩৫ পয়সায় মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে এই তেল। মোট খরচ হচ্ছে ১৬২ কোটি আট লাখ ৫০ হাজার টাকা।