নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৩৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা এবং ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ২০ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৩৮ পয়সা (ঘাটতি)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ আগস্ট দুপুর ১২টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ জুলাই।
এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৩৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৮০ পয়সা আর ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯২ টাকা ৬৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৯ টাকা ২১ পয়সা (ঘাটতি)।
এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৮০ পয়সা আর ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০৯ টাকা ১৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৭ টাকা ৮৩ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৭৭ পয়সা আর ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০৮ টাকা ৯০ পয়সা।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬০ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের সংখ্যা ছয় কোটি চার লাখ ২৮ হাজার ৩৫৮টি। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে, ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৫৭ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ বা ২ টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৯ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫২টি শেয়ার মোট ৭৭২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ২৪ লাখ টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর ৪৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৫১ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯২ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
