Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 12:50 pm

পবিপ্রবিতে  পাবলিক লেকচার অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধি, পবিপ্রবি: পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) গতকাল ‘পরিবর্তিত খাদ্য পরিস্থিতি, শিক্ষার মান, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও বিসিএস আমার কোন পথে?’ শীর্ষক এক পাবলিক লেকচার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন কৃষি অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এমএ সাত্তার মণ্ডল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পাবলিক লেকচারে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশের ইকোফিশ প্রজেক্ট টিম লিডার প্রফেসর ড. মো. আব্দুল ওহাব এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান গবেষক ড. ওয়ায়েস কবির।

প্রফেসর ড. এমএ সাত্তার মণ্ডল বলেন, পরিবর্তিত খাদ্য পরিস্থিতিতে পরিবর্তিত খাদ্য ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশের নিজস্ব আর্থিক সামর্থ্যরে ব্যবস্থাপনাগত কৌশল দরকার। আগামী মৌসুমে ১৫ লাখ টন গম বেশি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমদানি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। দক্ষিণাঞ্চলে লবণসহিষ্ণু গম চাষের প্রকল্প এগিয়েছে। ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যসম্মত সরষে বীজ উৎপাদন ও সূর্যমুখী ফুল চাষের উদ্যোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। চাল থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরি করা যেতে পারে। শিক্ষা এখন ডিগ্রিসর্বস্ব পরীক্ষানির্ভর, জ্ঞান অর্জন মুখ্য নয়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য এ শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি নয়।  শিক্ষার্থীরা ব্যবস্থাপনাগত ফাঁদে আটকে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা স্বপ্নহীন, ভবিষ্যৎহীন। তাদের আকাশচুম্বী উচ্চাকাক্সক্ষা থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষামুখী। তারা শিক্ষার বাজার ব্যবস্থা ও দর্শনের অভিঘাতের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে। তরুণদের ডিজিটাল প্রযুক্তির আসক্তি থেকে বেরিয়ে সুকুমার বৃত্তির চর্চা প্রয়োজন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর স্বদেশে চন্দ্র সামন্ত বলেন, গুণী মানুষকে ক্যাম্পাসে আনার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। আজ সাত্তার মণ্ডলকে পেয়ে সত্যিই আনন্দিত। তিনি শৃঙ্খলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আরও বলেন, শুধু অর্থই গবেষণা-বিমুখী করেনি, অন্য উপাদানও বেশ দায়ী।”