প্রতিনিধি, পবিপ্রবি : পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ কেয়ার সেন্টারে বিভিন্ন টেস্ট নামমাত্র ফিতে করাতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি হেলথ কেয়ারের সমস্যা নিয়ে সংবাদ প্রচার করার পর স্বল্প সময়ে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। অন্যান্য সমস্যার সমাধানও দ্রুত আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
পবিপ্রবি হেলথ কেয়ার সেন্টার সূত্রে জানা যায়, সেন্টারটির ডায়াগনস্টিক ল্যাবের ইনভেস্টিগেশন চার্জ পুনর্নির্ধারণের জন্য গঠিত কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন ধরনের টেস্ট খুব কম মূল্যে রোগীরা করাতে পারবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন নামমাত্র মূল্যে। কিছু টেস্ট শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে করাতে পারবেন এবং অন্যান্য টেস্টের জন্য শিক্ষার্থীদের খরচ হবে ২০ থেকে ১০০ টাকা।
টেস্টসমূহের মধ্যে লিপিড প্রোফাইল করাতে শিক্ষার্থীদের ফি ১০০ টাকা, স্টাফদের ৩০০ এবং বহিরাগতদের ৫০০ টাকা।
পাকস্থলির আলট্রাসনোগ্রাম করতে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের জন্য ফি ১০০, স্টাফের জন্য ৩০০ এবং বহিরাগতদের জন্য ৫০০ টাকা; ইসিজি করাতে শিক্ষার্থীদের ৫০, স্টাফ ফি ১০০ এবং বহিরাগতদের ২০০ টাকা; সিআরপি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের ৭৫, স্টাফ ১৫০ টাকা এবং বহিরাগত ফি ৩০০ টাকা; ভিডিআরএল টেস্ট করাতে শিক্ষার্থীদের ২৫, স্টাফদের ৫০ এবং বহিরাগতদের ১৫০ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য টেস্ট শিক্ষার্থীরা নামমাত্র ফি দিয়ে করাতে পারবেন। সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়, হেলথ কেয়ার সেন্টারে রসিদের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং রসিদ প্রদর্শনের মাধ্যমে সব টেস্ট সমাপ্ত হবে। কোনো টেস্ট রসিদ প্রদর্শন ব্যতীত করানো হবে না।
এ বিষয়ে হেলথ কেয়ার সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা এটিএম নাসির উদ্দীন জানান, হেলথ কেয়ারে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি রয়েছে। সব টেস্টের নির্ভুল রিপোর্ট হয়।
ইনভেস্টিগেশন চার্জ পুনর্নির্ধারণ কমিটির দায়িত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক সুজন কান্তি মালী জানান, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে তাদের জন্য নামমাত্র ফিতে টেস্টের সুবিধা রাখা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে সেবা নিতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হেলথ কেয়ারে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে, যাতে বাইরে গিয়ে কেউ প্রতারিত না হয়। হেলথকেয়ারে স্বাস্থ্যসেবার মান আগের চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।