Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 11:10 pm

পরমাণু কর্মসূচির গতি বাড়িয়েছে: আইএইএ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরান চলতি বছরের শুরুতে যে হারে ইউরেনিয়াম পরিশোধন করত সেই হারে পরিশোধন করা আবার শুরু করেছে। দেশটি তার পরমাণু কর্মসূচির গতি আরও বাড়িয়ে তুলেছে যদিও বোমা তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করে চলেছে। খবর: ভয়েস অব আমেরিকা।

আইএইএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরান অত্যন্ত উচ্চমানের পরিশোধিত ইউরেনিয়াম উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। ফলে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি নাগাদ যে পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের উৎপাদন কমিয়েছিল, ইরান এখন তার বিপরীত অবস্থানে চলে এসেছে।

গত নভেম্বরের শেষ থেকে ইরান প্রতি মাসে প্রায় ৯ কিলোগ্রাম হারে পরিশোধিত ইউরোনিয়ামের উৎপাদন ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এ হিসেবে জুন থেকে তা প্রায় ৩ কিলোগ্রাম বেশি। ১৯ ও ২৪ ডিসেম্বর আইএইএ-এর পরিদর্শকরা দুটি স্থাপনায় দেখেন, পরিশোধিত ইউরেনিয়াম উৎপাদন এ হারে চলছে। এ ধরনের কার্যকলাপ যে দু’টি স্থাপনায় চলছে সেগুলো হলোÑদ্য নাটানজ পাইলট ফিউয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট এবং দ্য ফরডো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট।

পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য প্রয়োজন ৯০ শতাংশ পরিশোধিত ইউরেনিয়াম। তবে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশই যথেষ্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বিষয়ে যখন অনানুষ্ঠানিক আলোচনা আবার শুরু হয়েছে, তখন মনে করা হচ্ছে ইরান ইউরেনিয়াম পরিশোধনের কাজ কমিয়ে দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় দুটি দেশের মধ্যে বৈরিতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে একে অপরকে অভিযুক্ত করছে।

ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি গত মাসে আইএইএ-এর একটি গোপন প্রতিবেদন দেখে, যাতে এ রকম ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে ইরানের পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের পরিমাণ ২০১৫ সালের চুক্তিতে যে সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল তার ২২ গুণ বেশি। ওই চুক্তিতে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সীমিত করার পরিবর্তে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা ছিল। ২০১৮ সালে এ চুক্তিটি ভেঙে যায়। তখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়। তার উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভিয়েনায় আলোচনায় ওই চুক্তিটি আবার সক্রিয় করার চেষ্টা করেছিলেন।  তবে ২০২২ সালের গ্রীষ্মকাল থেকে এই প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে।