শেয়ার বিজ ডেস্ক; উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এক সামরিক মহড়ায় দেশের পরমাণু কর্মসূচি বাড়ানোর বিষয়ে বেপরোয়া মন্তব্য করেছেন। খবর: বিবিসি।
গত সোমবার উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ওই মহড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) প্রদর্শন করা হয়।
২০১৭ সালের পর গত মার্চে উত্তর কোরিয়া তাদের সবচেয়ে বড় আইসিবিএম পরীক্ষা চালায়। তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পরীক্ষার তীব্র নিন্দা জানায়। পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার ওপর বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রও। পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম আইসিবিএম দিয়ে দেশটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম।
এই মহড়ায় হাইপারসনিক মিসাইলের পাশাপাশি সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপে সক্ষম ব্যালিস্টিক মিসাইলেরও প্রদর্শন করা হয়। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অস্ত্র সক্ষমতা বাড়ানো থেকে বিরত না থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) এক প্রতিবেদনে জানায়, কিম জং উন দ্রুতগতিতে পারমাণবিক ক্ষমতা জোরদার ও বিকাশে পদক্ষেপ নিতে থাকবেন। তিনি জানান,তাদের পারমাণবিক বাহিনী যেকোনো সময় অনুশীলনের জন্য অবশ্যই
প্রস্তুত থাকবে।
কিম জং উন জানান, তার দেশের পারমাণবিক সক্ষমতা মূলত যুদ্ধ প্রতিরোধের হাতিয়ার, তবে তা অন্য কাজেও ব্যবহƒত হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে তিনি বরাবরের মতো বোঝাতে চেয়েছেন, আক্রান্ত হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে উত্তর কোরিয়া।
কিম জং চান তার দেশ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বৈধ পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশ হবে। তিনি আরও চান তার দেশের ওপর চাপিয়ে দেয়া সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। তবে তিনি জানেন, এর কোনোটিই সম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থেকে সরে এলে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়া শুধু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে যে বিচ্ছিন্ন তা নয়, দেশটি কভিড-১৯ মহামারিতে নিজেদের সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলে।
