নিজস্ব প্রতিবেদক: সাধারণত বাংলাদেশের বাজেটের দুটি অংশ রয়েছে। একটি হচ্ছে পরিচালন ব্যয়। অন্যটি উন্নয়ন ব্যয়। এ দুই ব্যয় মিলে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। এ ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত হচ্ছে সুদ ব্যয়। মোট পরিচালন বাজেটের ২২ শতাংশই যাবে সুদ পরিশোধ বাবদ। অব্যাহতভাবে পরিচালন ব্যয়ের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে এই পরিচালন ব্যয়। এর মধ্যে বিদেশি ঋণের সুদ মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
জাতীয় সংসদে গতকাল আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগামী অর্থবছরে দেশি ও বিদেশি ঋণ ও অন্যান্য ধারের সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ১৪ দশমিক দুই শতাংশ এবং পরিচালন বাজেটের ২২ শতাংশ। পরিচালন বাজেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়ের খাত ভর্তুকি ও প্রণোদন এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ খাত হচ্ছে বেতন-ভাতা।
মোট সুদ ব্যয়ের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উৎস থেকে সরকারের গৃহীত ঋণের সুদ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বিদেশি ঋণের সুদ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অথচ মাত্র দুই বছর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। সে হিসাবে মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি।
সুদ ব্যয় বৃদ্ধি বাজেটের ওপর কী ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সুদ পরিশোধ এখন পরিচালন বাজেটের প্রায় এক চতুর্থা