Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 10:25 pm

পরিস্থিতি বিবেচনায় সতর্ক অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: পূজিবাজার টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেছে। ছোট ছোট পতনের পাশাপাশি সম্প্রতি দেখা গেছে বড় পতন। এক দিনে সূচকের পতন হয়েছে ৯৪ পয়েন্ট বা প্রায় দুই শতাংশ। এতে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে দোলাচলে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আগামী দিনে পরিস্থিতি কেমন হবে তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত রয়েছেন তারা। এ কারণে তারা বিনিয়োগে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে কমে এসেছে লেনদেন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে মোট ৯৪১ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। আগের কার্যদিবসেও লেনদেন ছিল হাজার কোটি টাকার নিচে। এ নিয়ে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পরে পরপর দু’দিন লেনদেন হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে গেল। মূলত শেয়ার বিক্রি করে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা চাইছেন বাজারপরিস্থিতি ভালোভাবে যাচাই করে বিনিয়োগ করতে। যে কারণে লেনদেন কমে গেছে।

এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, দিন শেষে মোট লেনদেনে এগিয়ে ছিল বিবিধ খাত। গতকাল মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান ছিল ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। লেনদেনে পরের অবস্থানে দেখা যায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে খাতটির অবদান দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। একইভাবে মোট  লেনদেনে ১২ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়  ওষুধ ও রসায়ন খাত। অন্যান্য খাতের মধ্যে খাদ্য, টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংক ও প্রকৌশল খাতের সন্তোষজনক অবদান দেখা যায়।

এদিকে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের মধ্যে ২১ কোটি টাকা ছিল ব্লক মার্কেটের। গতকাল এ মার্কেটে মোট ২৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকার লাফার্জহোলসিমের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ২৫ লাখ সাত হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনেটার।

এছাড়া আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ১০ লাখ ৯২ হাজার টাকার, আমান ফিডের ৯ লাখ ১৮ হাজার টাকার, এপেক্স স্পিনিংয়ের পাঁচ লাখ টাকার, বারাকা পাওয়ারের ১৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর পাঁচ লাখ ৩২ হাজার টাকার, বসুন্ধরা পেপারের ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।