পরীক্ষামূলকভাবে বই গেছে, ভুল থাকতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে এ বছর যে বইগুলো গেছে সেগুলো পরীক্ষামূলকভাবে গেছে। কাজেই এবার ষষ্ঠ, সপ্তম ও প্রথম শ্রেণিতে যে বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে উঠেছে সেগুলোতে ভুল থাকতে পারে। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতার চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘একুশ শতকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা মাধ্যমিকের ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলক সংস্করণের বইগুলো দিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেব এবং সে অনুযায়ী বছরব্যাপী আমরা এগুলোকে পরিমার্জন-পরিশীলন করব।

ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা একটা সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি। কারণ এখন আমাদের সামনে ২০৩০ সালের যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যেটি আমাদেরও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। সেখানে ১৭টি যে গোল বা

 লক্ষ্য রয়েছে তার ৪নং লক্ষ্য শিক্ষা হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্রে। সেই শিক্ষার যদি আমরা মান অর্জন করতে পারি, সেই শিক্ষাকে যদি আমরা জীবনব্যাপী শিক্ষা করতে পারি এবং সেই শিক্ষা যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় তাহলে বাকি যে ১৬টি গোল বা লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী যা কথা বলেন তা রাখেন। বঙ্গবন্ধু যেমন করতেন তার কন্যাও তেমন করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ করবেন বলেছেন করেছেন, আজকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের কথা তিনি বলেছেন এবং সেই উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রধানতম হাতিয়ার হলো শিক্ষা। সেজন্য আমাদের শিক্ষায় এই পরিবর্তনটা আনতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের কারিগরি শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব ও সম্মান দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার পথে যে বাধা আমরা তা নিরসনে কাজ করছি। আমরা মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের জন্য কাজ করছি। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় বিষয়গুলো যেমন ভালোভাবে শিখবে তেমনি নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আধুনিক শিক্ষাও নেবে। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা মূলধারার শিক্ষার্থীদের থেকে দুইশ নাম্বার বেশিতে পরীক্ষা দেয়। নতুন শিক্ষাক্রমে তা সমানে নিয়ে আসার কথা জানান তিনি।

তিনি জানান, ভাষা শিক্ষার ব্যাপারে আমরা অনেক জোর দিচ্ছি। আগে তারা কেবল কোরআনের ভাষাটাই শিখতো কিন্তু এখন তারা আরবি সাহিত্যের ভাষাও শিখছে। দেশে বিদেশে স্টাবলিশ হওয়ার জন্য তাদের আরবি ভাষা, ইংরেজি ভাষা শেখানোর পাশাপাশি প্রযুক্তির সব সুবিধা নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০