শেয়ার বিজ ডেস্ক: মধ্য জাপানের ছোট্ট শহর ফুজিকাওয়াগুচিকো। পর্যটকদের ছবি তোলার কারণে প্রায়ই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তাদের নিয়ম ভাঙা রুখতে শহরটির কর্তৃপক্ষ ধাতব তারের একটি বিশাল দেয়াল তুলেছে, যাতে কিছুটা বিরত হন পর্যটকরা। তারের এই দেয়াল আট ফুট উঁচু এবং প্রস্থে ৬৫ ফুট। খবর: দ্য জাপান টাইমস।
মাউন্ট ফুজির সৌন্দর্য জাপানের ফুজিকাওয়াগুচিকো শহরের অন্যতম আকর্ষণ। বিশ্বের নানা দিক থেকে পর্যটকরা আসেন এখানে এই অপরূপ দৃশ্যের সঙ্গে ছবি তুলতে। এ শহরে ২৬ হাজার মানুষ বাস করেন। শহরের পাশে রয়েছে ছবির মতো সুন্দর, বিশালাকায় কাওয়াগুচি হ্রদ। সেই হ্রদকে ছাপিয়ে শহরের এক পাশের আকাশজুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে জাপানের বিশ্ববিখ্যাত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট ফুজি।
গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয়দের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছেন পর্যটকরা, যারা পথেঘাটে ময়লা-আবর্জনা ফেলেন এবং ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে সেলফি তুলতে ছোটেন। ছবির মতো সুন্দর এই শহরটিতে ততোধিক সুন্দর পাহাড়ের সঙ্গে ছবি তুলতে গাড়ি পার্ক করা ও ধূমপানের বিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন পর্যটকরা।
জাপানের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, দেয়াল তোলার জন্য তারা দুঃখিত। কিন্তু পর্যটকদের বারবার সতর্ক করে কোনো সুরাহা না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে দেয়াল তুলেছেন।
ইয়ামানাশি কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতিতে জানায়, ১ জুলাই থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইয়ামানাশির ইয়োশিডা অঞ্চলে হাইক করতে পারবেন পর্যটকরা। যারা মাউন্ট ফুজিতে হাইক করতে চান, তাদের আগে থেকে অর্থ দিয়ে সøট বুক করতে হবে, কারণ তা না হলে অহেতুক ভিড়ের ফলে শহরে আবর্জনা বাড়বে এবং তাড়াহুড়োয় পাহাড় চড়তে যাওয়ার বিপদও থাকে বলে জানায় তারা। প্রতিদিন শুধু চার হাজার মানুষ এই পাহাড়ে চড়ার অনুমতি পাবেন।
জাপানের জাতীয় পর্যটন সংস্থার আশা, চলতি বছরে রেকর্ড তিন কোটি ২০ লাখ পর্যটক জাপানে বেড়াতে যাবেন।