নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতের বিকাশ ও উন্নয়নে বলিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। পর্যটন খাত বিকাশে বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকেই প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেসরকারি খাতের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এ খাতের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে।
গতকাল শনিবার এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি রিলেটিং টু মিনিস্ট্রি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের (সিভিল এভিয়েশন) এক সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ শমী কায়সার সভায় দেশের পর্যটন খাত, বিমানবন্দর সেবা এবং বিমান পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেসব সমাধানে এ কমিটির পক্ষ থেকে কাজ করার পরিকল্পনার কথা জানান। কমিটির চেয়ারম্যান তৌফিক উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং সদস্যবৃন্দ ছাড়াও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আলোচকরা পর্যটন খাতে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরে বলেন, শুধু বেড়ানোর উদ্দেশ্যে নয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল ট্যুরিজম, আর্ট-কালচার ট্যুরিজম, রিলিজিওন ট্যুরিজম, ফ্যাশন ট্যুরিজম, মিডিয়া ট্যুরিজম ইত্যাদির এক উল্লেখযোগ্য গন্তব্য হতে পারে। পর্যটন বর্ষ ঘোষণার মাধ্যমে সরকারও এ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তবে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনাময় এ দেশটিতে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রথমেই আমাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সেবা বহুগুণ উন্নত ও আন্তরিক করতে হবে বলে বক্তরা সভায় উল্লেখ করেন।
এ লক্ষ্যে এফবিসিসিআই নেতারা বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বিমানবন্দরের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলে সভায় জানানো হয়। দেশে প্রতি বছর কত সংখ্যক বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে আসে, তাদের আগ্রহ এবং পছন্দের বিষয় কী কী এসব নিয়ে পর্যটন কর্তৃপক্ষের ‘গবেষণা সেল’ থাকা দরকার বলেও সভায় মত ব্যক্ত করা হয়। পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও বিমানবন্দর সেবায় বিদ্যমান সমস্যাগুলো দূরীকরণে এ কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে যাবে বলে সভায় বক্তারা অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
সভায় কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, সরকার-বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে আগামী মাসে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীকে নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিওএবি)-এর সভাপতি তৌফিক রহমান এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব এম শাহাদাত হোসেন বক্তব্য রাখেন।