Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 5:38 am

পর্যটন খাতের উন্নয়নে ১২০ কোটি রিয়াল ব্যয় করছে সৌদি আরব

শেয়ার বিজ ডেস্ক : আগামী বছর পর্যটকদের জন্য ভিসা উম্মুক্ত করার ঘোষণা আগেই দিয়েছে সৌদি আরব। এবার পর্যটন খাতে উন্নয়নে দেশজুড়ে জাদুঘর এবং ঐতিহ্য স্থাপনার সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ১২০ কোটি রিয়াল বরাদ্দ করেছে সরকার। আরব নিউজ

সৌদি আরব পর্যটন ও ন্যাশনাল হেরিটেজ (এসসিটিএইচ) কমিশন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, স্থাপনা, জাদুঘর ও ঐতিহ্য প্রকল্পে আগামী বছর সরকারের খরচ হবে ১২০  কোটি রিয়াল। ইতোমধ্যে এসসিটিএইচের প্রেসিডেন্ট প্রিন্স সুলতান বিন সালমান বেশ কয়েকটি দেশীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

এ প্রকল্পের আওতায় নতুন জাদুঘর প্রতিষ্ঠা, পুরোনো জাদুঘরগুলোর উন্নয়ন, জাতীয় জাদুঘর সম্প্রসারণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রতœতাত্ত্বিক ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

কমিশনের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ২৩০টি প্রকল্প রয়েছে, যা বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্য, জাদুঘর, ইসলামি ইতিহাসের স্মরণীয় স্থান, হস্তশিল্প এবং রাজ্যের ঐতিহ্য ধারণ করে এমন স্থাপনা নিয়ে সরকার কাজ করবে। তারা বলেন, আমরা নতুন প্রকল্পে মক্কা অঞ্চলের আল-সাক্কাফের দর্শনীয় স্থান ও ডিজাম, তাবুক, বাহ, হেল, জোফ, নাজরান ও আসের প্রভৃতি এলাকার আঞ্চলিক জাদুঘরগুলো পর্যটকদের জন্য উম্মুক্ত করব। আমরা আশাবাদী সারা বিশ্ব আমাদের পর্যটন এলাকাকে উপভোগ করবে।

রক্ষণশীল রাজ্যের আধুনিকায়নে হঠাৎ করেই যেন সংস্কারের দিকে নজর দিয়েছে সৌদি আরব। গত মাসে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এবার অর্থনীতিকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর জন্য হাতে নেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা। হাজার হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার মরুভূমিকে নতুন শহরে পরিণত করতে চাইছে দেশটি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে এবং শিগগিরই এ দাম খুব একটা বাড়বে বলে মনে হচ্ছে না। তাছাড়া ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়ার পর দেশটিও এখন তেলের বাজারে এসেছে। ফলে বিশ্ববাজারে তেলের জোগান আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ২০২০ সালে তেল বিক্রি বন্ধ হয়ে গেলেও সৌদি আরব চলতে পারবে। অর্থনৈতিক দিক থেকে বর্তমানে সৌদি আরবের মানুষের জীবনযাত্রা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত জীবনের মধ্যে অন্যতম। সমস্যা হচ্ছে মানুষের হাতে অর্থ থাকলেও সেগুলো খরচ করার কোনো জায়গা দেশের ভেতরে নেই। বিশ্বের অনেক দেশের মানুষের উপার্জন সৌদি আরবের চেয়ে কম হওয়া সত্ত্বেও তাদের জীবনযাত্রার মান ভালো, কারণ সেসব দেশে বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা আছে। সেসব দেশের নাগরিকদের উপার্জন কম হলেও তারা সে অর্থ খরচ করতে পারে এবং উপভোগ করতে পারে।