নিজস্ব প্রতিবেদক: পর্যটন-শ্রমশক্তিসহ দু’দেশের স্বার্থ রক্ষায় ৬০ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-সৌদি আরব। এর মধ্যে দুই দিনের যৌথ কমিশনের বৈঠকে ৩১ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি সই করেছে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের পক্ষে স্বাক্ষর করেন দলনেতা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ। আর সৌদির পক্ষে স্বাক্ষর করেন দেশটির প্রতিনিধিদলের নেতা শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মাহির আবদুল রহমান গাসিম।
পরবর্তীকালে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চুক্তির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এছাড়া বাকি ২৯ বিষয়ের ওপরে আরও যাচাই-বাছাই করে চুক্তির কাজ করা হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
চুক্তি শেষে মনোয়ার আহমেদ বলেন, দু’দেশের মধ্যে ৬০টি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে উভয় দেশই পজিটিভ। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সৌদির অ্যাকোয়া পাওয়ারের সঙ্গে ১৮০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চুক্তি হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই সৌদি আরবের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসবেন এবং এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফরের পর দু’দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় গেছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বৈঠকে সৌদি আরবে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরানোর বিষয়টি ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে তুলেছে সৌদি আরব। তবে বাংলাদেশ এ বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইআরডি সচিব বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। তবে এর সঙ্গে অনেক মন্ত্রণালয় ও সংস্থা যুক্ত। তাই পরবর্তীকালে আলাপ-আলোচনা করা হবে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যৌথ কমিশন বৈঠক দুই বছর পরপর হয়, কিন্তু টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক চলে সব সময়ই। তাই বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীকালে বাস্তবায়িত হয় টেকনিক্যাল কমিটির মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহির আবদুল রহমান গাসিম বলেন, রেহিঙ্গা ইস্যু একটা স্পর্শকাতর বিষয়। এরই মধ্যে সৌদি আরবে কিছু রোহিঙ্গা আটক রয়েছে। অনেকে জেলও খাটছে। তাদের সাজা শেষে ফেরত পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, সৌদি সরকার বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে কয়েক বছর ধরেই।