আমাদের দেহের কাজকর্ম সঠিকভাবে চালিয়ে নিতে পানি অপরিহার্য। দেহের তাপমাত্রা সঠিক রাখা, রেচনক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বের করা, সুষ্ঠুভাবে পাচনক্রিয়া পরিচালনা করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, অস্থিসন্ধির নমনীয়তা রক্ষাসহ মস্তিষ্কের সুরক্ষায় প্রয়োজন পানি।
কম পান করলে
সব সময় ক্লান্ত লাগবে
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে
ওজন বেড়ে যেতে পারে
দ্রুত জরাগ্রস্ত হতে পারেন
কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে
হার্টে সমস্যা হতে পারে।
চলছে শ্রাবণ মাস। বৃষ্টির সাড়া নেই সেভাবে। ফলে অস্বস্তি ঘিরে রেখেছে আমাদের। সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় ৩৫ ডিগ্রি। এ সময় প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাপমাত্রার কারণে গরমে দেহ থেকে পানি বেরিয়ে যায়, শরীরের তরল শুকিয়ে যায়। পর্যাপ্ত পানি পানে অন্তত হুট করে শরীর অসুস্থ হবে না। তবে যাদের কিডনির অসুখ আছে বা অন্য কোনো সমস্যার জন্য পানি পানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আছে, সেক্ষেত্রে মেপেই পানি পান করতে হবে। বাড়িতে বিশ্রাম নিতে হবে। খুব দরকার না পড়লে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
সুস্থদের বেলায়ও একই পরামর্শÑএই দাবদাহের কবল থেকে বাঁচতে রোদে বেড়ানো যতটা সম্ভব কমাতে হবে। হালকা রঙের সুতি জামাকাপড় পরতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে ছাতা।
গরমকালে ঠাণ্ডা পানি খেতে কার না ভালো লাগে? তবে কখনোই ঠাণ্ডা পানি পান করা উচিত নয়। এতে চট করে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। একান্ত প্রয়োজন হলে ঠাণ্ডা ও গরম পানি মিশিয়ে পান করুন।
শিশুদের বেলায়
সব শিশুর ওজন সমান নয়। সবাই শান্তও নয়। কেউ ছটফট করে, খেলাধুলা করে। ফলে তাদের ঘাম হয়। সাধারণত সাত থেকে ১০ বছর বয়সী একটি শিশুর দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন বিশুদ্ধ পানি পান করে।