প্রতিনিধি, পবিপ্রবি : পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) হেলথকেয়ার সেন্টারে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুর ১২টায় শিক্ষার্থীরা চিকিৎসক কর্তৃক শুধু অ্যান্টিবায়োটিক লিখিত প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেয়া, সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়া, সেবাকেন্দ্র থেকে কোনো ওষুধ না দেয়া, ভুল চিকিৎসা দেয়া, অফিস চলাকালীন চিকিৎসকের বাইরের চেম্বার বসাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন। এ সময় ভুল চিকিৎসায় অসুস্থ শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা মানববন্ধন করেন ও হেলথকেয়ার সেন্টারের প্রধান গেট তালবদ্ধ রাখেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য ৫ দফা দাবি করেন। দাবিগুলো হলো রাহাতের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ দিতে হবে, চিকিৎসককে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে, ২৪ ঘণ্টা ডাক্তার ও কর্মচারীদের উপস্থিতি, প্রয়োজনীয় ওষুধের জোগান, প্রয়োজনীয় টেস্টের ব্যবস্থা, রোগ নির্ণয় না করে অ্যান্টিবায়োটিক ও ইনজেকশন দেয়া বন্ধ করা, সপ্তাহে এক দিন হলেও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের উপস্থিত। এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে যাবেন।
২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান বলেন, গত শনিবার আমাদের বন্ধু রাহাত অসুস্থ হলে তাকে হেলথকেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক লিখিত প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেয়। ভুল চিকিৎসার জন্য তার অবস্থা আরও খারাপ হলে বরিশালে শেরেবাংলা মেডিকেল নিলে তার অ্যাপেন্ডিসাইটের সমস্যা ধরা পড়ে। দ্রুত অপারেশন না করলে জীবনের ঝুঁকি ছিল।”
২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান অনিক বলেন, হেলথকেয়ার কোনো টেস্ট করেতে চায় না, কোনো ওষুধ দেয় না, কোনো টেস্টের প্রয়োজন হলেই শুনি এই টেস্টের যন্ত্র নষ্ট, বাইরে থেকে টেস্ট কর। “
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী নাঈম খান বলেন, হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে হেলথকেয়ার এসে ফোন দিয়ে গেট খুলাতে হয়। ডাক্তার আসে তার কয়েক ঘণ্টা পর।”
বিএ অনুষদের শিক্ষার্থী তানজিদ হাসান বলেন, হেলথকেয়ারে গেলে পরীক্ষা ছাড়াই ইনজেকশন দেয়, আর একটু ঠান্ডা লাগলেও অ্যান্টিবায়োটিকের প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেয়।”