পর্ষদ সভার তারিখ জানিয়েছে লাফার্জহোলসিম ও ফু-ওয়াং ফুড

নিজস্ব প্রতিবেদক:পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সিমেন্ট খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ: কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ২ মার্চ বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৮১৮ কোটি ৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১৮ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৪ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৯ পয়সা।

ফু-ওয়াং ফুড: কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১৮ পয়সা। এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৫ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরেও কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। সে সময়ে তাদের ইপিএস হয়েছিল পাঁচ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। ওই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৩৬ পয়সা।

২০০০ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ১১ কোটি আট লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪টি। মোট শেয়ারের মধ্যে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, ১০ দশমিক ১১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, এক দশমিক ১০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে এবং ৮০ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০